Bankura TMC leader: ‘অনেক নেতাই চাকরি বিক্রির সঙ্গে জড়িত’, দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের একাধিক নেতা মন্ত্রীর। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। ফলে তা নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই মধ্যে এবার দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বাঁকুড়ার ওন্দার তৃণমূল নেতা প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, চাকরি বিক্রিতে দলের অনেক নেতাই জড়িত রয়েছেন। এমনকী প্রার্থীপদও বিক্রি করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

ওন্দার তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি প্রদীপ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘কেউ ঘর দিয়েছে, কেউ চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছে, সরকারি প্রকল্পে টাকা দিতে গিয়েও গরীব মানুষের কাছ থেকে ২ হাজার-৩ হাজার করে নিয়েছে আমার দলের নেতা-নেত্রীরা।’ তিনি আরও বলেন, ‘টিকিটের জন্য আগামী দিনে অঞ্চল সভাপতিরা কোথায় কার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে সব বলে দেব। প্রধানদের অন্ধকারে রেখে চা বিস্কুটের পয়সা দিয়ে টাকা লুঠ করছে।’ তৃণমূল নেতার মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই দলের গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। একইভাবে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এবং সেখানকার ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীকোন্দল সম্প্রতি প্রকট হয়ে উঠেছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বারবার গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে শাসকদল।

যদিও তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলকে হাতছাড়া করতে চাইছে না বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই বিবাদকে বিজেপি হাতিয়ার করতে চাইছে। এই প্রসঙ্গে ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা বলেছেন, ‘প্রতিটি পঞ্চায়েত সমিতির এমএস, ইঞ্জিনিয়ারদের মাধ্যমে তৃণমূলের চোর চোট্টাদের বাড়ান্ত হয়েছে।’ অন্যদিকে, তৃণমূল নেতাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন ওন্দার ব্লক সভাপতি উত্তম বিট। তিনি বলেন, ‘উনি টিকিট পাননি বলে এই সমস্ত কথা বলছেন। প্রার্থী পদে নাম আছে কিনা বলতে পারব না।’ তবে এ নিয়ে তৃণমূল যথেষ্ট অস্বস্তিতে। আগামী দিনের পঞ্চায়েত ভোটে তার প্রভাব পড়ে কিনা সেটাই দেখার।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup