বিজেপিকেও সমর্থন করতে রাজি যদি…ত্রিপুরায় মন কি বাত জানালেন সিপিএমের শীর্ষ নেতা

প্রিয়াঙ্কা দেব বর্মন

মানুষের পক্ষে যায় এমন যেকোনও সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবে ত্রিপুরা সিপিএম। কংগ্রেস,তিপ্রা মোথা, বিজেপি কিংবা অন্যান্য রাজনৈতিক দল যে, মানুষের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেবে তার পাশেই থাকবে সিপিএম। তবে মানুষের স্বার্থ বিরোধী কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সেটা কোনওভাবেই মানবে না সিপিএম।

সিপিএমে ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী এনিয়ে জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আমরা মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। তিপ্রা মোথা, কংগ্রেস এমনকী শাসক বিজেপি যদি মানুষের স্বার্থে কোনও কাজ করে তবে তাকে আমরা সাপোর্ট করব। কিন্তু রাজ্যের তথা সাধারণ মানুষের স্বার্থ যদি বিঘ্নিত হয় তবে আমরা তা মেনে নেব না। ত্রিপুরা বিধানসভা চত্বরে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে একথা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত শাসক ও বিরোধী মিলিয়ে এদিন মোট ৪৪জন বিধায়ক শপথ গ্রহণ করেছেন। প্রোটেম স্পিকার বিনয় ভূষণ দাস বিজেপির ৩০জন বিধায়ক, আইপিএফটির ১জন বিধায়ক, ১১জন সিপিএম বিধায়ক ও ২জন কংগ্রেসের বিধায়কের শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন। তিপ্রা মোথার ১৩জন বিধায়ক শুক্রবার শপথবাক্য পাঠ করবেন। 

প্রটেম স্পিকার বিনয় ভূষণ দাস জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে ৪৪জন বিধায়ক শপথবাক্য পাঠ করেছেন। তিপ্রা মোথার বিধায়করা শুক্রবার শপথবাক্য পাঠ করবেন। 

এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বুধবারই বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি ধনপুর আসন থেকে এবার ভোটে জিতেছিলেন। কিন্তু তিনি একসঙ্গে দুটি পদে থাকতে পারেন না। সেকারণে তিনি বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। গত ৮ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মানিক সাহা শপথ নিয়েছিলেন। আরও ৯জন বিধায়ক সেদিন মন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত এবার বিজেপি সব মিলিয়ে ৩২টি আসনে জয়ী হয়েছিল। আইপিএফটি জিতেছিল ১টি আসনে। তারা বিজেপির সহযোগী শক্তি হিসাবে ভোটে লড়াই করেছিল।এবার তাৎপর্যপূর্ণভাবে ত্রিপুরার ভোট রাজনীতিতে তিপ্রা মোথা উঠে এসেছে। তারা এবার ১৩টি আসন পেয়েছে। তারা ত্রিপুরা বিধানসভায় আসন সংখ্যার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। সিপিএম এবার ১১টি আসন পেয়েছে। কংগ্রেস পেয়েছে ৩টি আসন।  

তবে বিগতদিনে ত্রিপুরায় ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। বর্তমানে তাদের সরিয়ে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে তিপ্রা মোথার থেকেও আসন কমে গিয়েছে সিপিএমের। তবে ভালো কাজে বিজেপিকেও সমর্থন করার কথা জানিয়ে জানিয়ে অন্যরকম বার্তা দিল সিপিএম যা ত্রিপুরার রাজনীতিতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।