কুড়িগ্রামের উলিপুরে দুটি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর ও একটি মন্দির থেকে প্রতিমা চুরির ঘটনায় এক শিশুসহ দুজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে (১৭ মার্চ) উপজেলা শহরের স্বর্ণময়ী সরোবরের কাছ থেকে তাদের আটক করে স্থানীয়রা। শুক্রবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটক অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের নাম জান্নাতুল ফেরদৌস (১৯)। তার বাড়ি ফুলবাড়ী উপজেলার তালুক শিমুলবাড়ী ফকিরপাড়া গ্রামে।
একই অভিযোগে তার এক সহযোগী (১৫) শিক্ষার্থীকেও আটক করা হয়েছে। তার বাড়ি উলিপুরের ধামশ্রেণি ইউনিয়নে। তারা উভয়ে উলিপুরের একটি মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষার্থী বলে জানায় পুলিশ।
আটক দুজনকে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়। এ সময় আটক জান্নাতুল ফেরদৌস মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের দায় স্বীকার করেছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
অপর অভিযুক্ত শিশু হওয়ায় আদালত তাকে নিরাপদ হেফাজতে পাঠান। তাকে রবিবার শিশু আদালতে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে অভিযুক্তরা কেন মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে, সে ব্যাপারে কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে পুলিশ।
ওসি শেখ আশরাফুজ্জামান বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মন্দিরে হামলার অভিযোগ এনে মামলা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার ও বুধবার মধ্যরাতে উলিপুর উপজেলার পৌর এলাকার যোদ্দারপাড়ার দুটি মন্দির ও খেওয়ারপাড় কেন্দ্রীয় শ্মশান মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর ও একটি প্রতিমা উধাওয়ের ঘটনা ঘটে।