দায়িত্ব নিলেন রাসিক মেয়র, মেডিক্যালে পড়বেন চান মিঞা

বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া চান মিঞার মেডিক্যালে ভর্তি ও পড়াশোনার খরচসহ সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

রাজশাহী মহানগরীর ধরমপুর এলাকার বাসিন্দা রিকশাচালক জাহিদুল ইসলামের ছেলে চান মিঞা। পরিবারে খুশির সংবাদ এনে দেন চান মিঞা। তিনি বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু অর্থের অভাবে সেই আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছে। মেডিক্যালে ভর্তি হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে তার পরিবার।

এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের নজরে আসে। তিনি তাৎক্ষণিক চান মিঞার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং রাতে চান মিঞার বাড়িতে যান। এ সময় তিনি চান মিঞার মেডিক্যালে ভর্তি ও পড়াশোনাসহ সব খরচ ব্যয় করবেন বলে পরিবারকে জানান।

স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে চান মিঞার বাবা জাহিদুল ইসলাম বলেন, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য লাগবে ২৫ হাজার টাকা। ভর্তির পর বইসহ আনুষঙ্গিক আরও এক লাখ টাকা প্রয়োজন। রিকশা চালিয়ে আমার পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা কখনোই সম্ভব না। ছেলে মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পর তাকে ভর্তি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ি। এই দুঃসময়ে কাউকে পাশে পাচ্ছিলাম না। এমন সময় আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মেয়র সাহেব। মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

চান মিঞার মা শিরিনা বেগম বলেন, মেয়র যদি আমার সন্তানের পাশে এসে না দাঁড়াতেন, তাহলে হয়তো ছেলেকে পড়ালেখা করানো সম্ভব হতো না। আমি মেয়র মহোদয়ের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করি।

চান মিঞা বলেন, অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করে আজ মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। মেডিক্যালে চান্স পাওয়ার পর আমি ও আমার পরিবার অনেক খুশি হই। কিন্তু ভর্তি ও পড়ালেখার খরচের অর্থসংকটে দিশেহারা হয়ে পড়ি। আমাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বিশ্বাস ছিল, যদি সংবাদটি মেয়র স্যার দেখেন, তাহলে তিনি অবশ্যই আমার জন্য কিছু করবেন। মেয়র স্যার আমার ভর্তিসহ পড়ালেখার খরচের দায়িত্ব নেওয়ায় তার প্রতি আমরা আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।

উল্লেখ্য, অদম্য মেধাবী চান মিঞা ২০১৯ সালে ডাঁশমারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ এবং ২০২১ সালে শহিদ বুদ্ধিজীবী কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।