তৃণমূল ইলেক্ট্রিক চুল্লি, বাংলায় মহারাষ্ট্র হবে, হুঁশিয়ারি মিহির গোস্বামীর

তৃণমূল ইলেক্ট্রিক চুল্লিতে পরিণত হয়েছে। কেউ ভিতরে থাকতে চাইছে না। বাংলায় মহারাষ্ট্রের পুনরাবৃত্তি হলে অবাক হবেন না। কালীঘাটে তৃণমূলের গুরুত্বপূ্র্ণ বৈঠক চলাকালীন বিস্ফোরক এই মন্তব্য করলেন প্রবীণ বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী।

তৃণমূল ইলেক্ট্রিক চুল্লিতে পরিণত হয়েছে

এদিন মিহিরবাবু বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস ইলেক্ট্রিক চুল্লিতে পরিণত হয়েছে। কেউ ভিতরে থাকতে চাইছে না। বেরোতেও পারছে না। দুর্নীতিগ্রস্ত দল ছেড়ে সবাই বেরোতে পারলে বাঁচে। কিন্তু বেরোলেই প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে সবাই চুপচাপ রয়েছেন। অপেক্ষা করুন। বাংলায় মহারাষ্ট্রের পুনরাবৃত্তি হলে আশ্চর্য হবেন না।

মমতা ভয় পেয়েছেন

তিনি আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পেরেছেন যে দলের বাঁধন আলগা হয়ে গিয়েছে। তাই কালীঘাটে ডেকেছেন সবাইকে। উনি ভয় পেয়েছেন। ইলেক্ট্রিক চুল্লি ছেড়ে যাতে এখনই কেউ না বেরোয় তা বোঝাতে বৈঠক ডাকা হয়েছে। তৃণমূল চোরেদের রক্ষক, মানুষ এদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবেই। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে অভিষেক বলেছিল তৃণমূলের দরজা খোলা আছে। এখন মানুষ তৃণমূলের দুর্নীতি দেখে বিরক্ত। তাই তৃণমূলের অন্দরে যারা শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ রয়েছেন তাঁরা বেরোতে পারলে বাঁচেন। তাদের রুখতেই শুক্রবারের বৈঠক।

মহারাষ্ট্রের পুনরাবৃত্তি হবে বাংলায়

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছাড়েন মিহির গোস্বামী। বিজেপির টিকিটে কোচবিহারের নাটাবাড়ি কেন্দ্র থেকে লড়াই করেন তিনি। হারান তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। তার পর থেকে লাগাতার তৃণমূলকে চাঁচাছোলা আক্রমণ করেছেন মিহিরবাবু। বিধানসভাতেও শাসকের বিরুদ্ধে সতত সরব তিনি। এহেন মিহির গোস্বামীর মুখে এবার বাংলায় মহারাষ্ট্রের পুনরাবৃত্তির হুঁশিয়ারি।

মহারাষ্ট্রের অভ্যুত্থানের ইতিবৃত্ত

বলে রাখি, গত বছর মহারাষ্ট্রে শাসক জোটের প্রধান শরিক শিবসেনায় ভাঙন ধরে। দল ভেঙে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক নিয়ে বেরিয়ে আসেন বিদ্রোহীদের নেতা একনাথ শিন্ডে। যার ফলে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে হয় উদ্ধব ঠাকরেকে। পরে বিজেপির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হন একনাথ। সম্প্রতি একনাথ শিবিরকেই শিবসেনা নাম ও প্রতীক ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।