সিপিএম আমলে কাদের চিরকুটে চাকরি, ব্রাত্যকে খুঁজে বের করার নির্দেশ মমতার

বাম আমলের নানা দুর্নীতির কথা তুলে বার বারই সরব হন তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু বাম নেতৃত্ব পালটা খোঁচা দেন, এতবছরেও কেন তদন্ত  করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না? তবে এবার এনিয়ে নড়েচড়ে বসলেন তৃণমূল নেত্রী। সূত্রের খবর, শুক্রবার তৃণমূলের মিটিং ছিল। সেখানে তৃণমূল নেত্রী শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে বলেন, ১৯৯০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত চিরকুটে যাদের চাকরি হয়েছে তাদের নামের তালিকা তৈরি করতে হবে। 

সূত্রের খবর, এদিন কার্যত বাম আমলে ঘুরপথে চাকরিপ্রাপকদের নিশানা করেন নেত্রী। তবে আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, আমরা কারোর চাকরি খাইনি। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে তবে কি এবার বাম আমলে চাকরি পেয়েছিলেন এমন কারোর চাকরিতে অনিয়ম ধরা পড়লে তার চাকরি খেয়ে নেবে রাজ্য সরকার? নাকি তৃণমূল জমানায় চাকরি চোরেদের বিরুদ্ধে যে বাম নেতারা গলা ফাটাচ্ছেন তাদের দমাতে ছোট্ট টোটকা দিলেন নেত্রী? এনিয়ে জোর চর্চা চলছে বাংলা জুড়ে।

সূত্রের খবর, এদিন  নেত্রী মিটিংয়ের মধ্য়েই জানিয়ে দেন, চাকরিতে দুর্নীতি হচ্ছে বলে খুব বড় বড় কথা বলছে। কিন্তু চিরকুট দিয়ে কারা কারা চাকরি করছিল তাদেরও তো নাম সামনে আসা দরকার। সাফ কথা নেত্রীর। 

তবে বাস্তবে বাম আমলে সেই তথাকথিত নিয়োগ দুর্নীতির হদিশ পাওয়া আদৌ সম্ভব কি না তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তবে সিপিএমের একাধিক নেতৃত্ব অবশ্য মমতার এই নির্দেশে একেবারেই বিচলিত নন। উলটে তৃণমূলের নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছেন। 

এদিকে তৃণমূল নেতৃত্ব মাঝেমধ্যেই অভিযোগ তোলেন বাম আমলে বাম দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা না থাকলে চাকরি পাওয়া যেত না। বাম নেতাদের এমন কোনও পরিবার ছিল না যাদের পরিবারের সদস্যরা চাকরি পেতেন না। আর সবটাই নাকি হত পার্টি অফিস মারফৎ। এমন অভিযোগ মাঝেমধ্য়েই তোলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার একেবারে তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মমতা। 

তবে বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতিতে কার্যত লেজেগোবরে অবস্থা রাজ্য সরকারের। একের পর এক তৃণমূল নেতার নাম সামনে আসছে। গোটা শিক্ষা দফতরই কার্যত গারদের ওপারে রয়েছে। ভয়াবহ দুর্নীতির কথা প্রকাশ্যে আসছে। কোটি কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগ উঠছে। এসব সামাল দিয়ে বাম আমলের দুর্নীতি নিয়ে এখন কি আর কাটাছেঁড়া করতে পারবে তৃণমূল? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।