Bratya Basu on Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার হয়ে বাম আমলের ‘চিরকুট সুপারিশ’ নিয়ে চ্যালেঞ্জ ব্রাত্যর

নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাই কোর্টের বিচারপতিদের উদ্দেশে ‘আবেদন’ করেছিলেন যাতে কারও চাকরি না যায়। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘বাম জমানার কারও চাকরি খাইনি’। মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বামেরা পালটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন, বাম জমানার কারও চাকরি দুর্নীতির ছায়ায় হয়নি, হলে সেই চাকরি বাতিল করে দেখাক বর্তমান সরকার। এই আবহে এবার বামেদর সেই ‘চ্যালেঞ্জ’ গ্রহণ করে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করলেন, বাম জমানার ‘চিরকুট সুবারিশ’ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে। (আরও পড়ুন: দুধের দাম বাড়ল বাংলায়, দোকানে যাওয়ার আগে দেখুন নয়া রেট)

ব্রাত্য বসু গতকাল বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা সেল এবং কাউন্সিলরদের বলেছি, ১৯৯৭ সাল, যখন থেকে এসএসসি শুরু হয়েছে, সেই সময় একটি নির্দিষ্ট দলের হোলটাইমারদের মধ্যে কারা কারা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের পরিবারের কোন কোন সদস্যরা চাকরি পেয়েছেন, তার একটা তালিকা তৈরি করতে হবে। তার শ্বেতপত্র আমরা প্রকাশ করব।’ এই আবহে বামেদের দাবি, শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক। যদি কোনও দুর্নীতি থাকে, কোন শিক্ষামন্ত্রীর আমলে তা হয়েছে, তাও প্রকাশ করা হোক।

আরও পড়ুন: প্রশ্ন ফাঁস দশমের বোর্ডে, পরীক্ষা বাতিল করে পরে নেওয়ার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর

এদিকে ব্রাত্য নিজের চাকরি পাওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের সময়ে নির্দিষ্ট ছাত্র সংগঠন না করলে স্কুলে চাকরি পাওয়া যেত না। আমার এম এ পাশ করা ছিল এবং নেট পাশ করা ছিল বলে কলেজে শিক্ষকতা পেতে অসুবিধা হয়নি। আমার বহু বন্ধু ও পরিচিত আছেন, যাঁরা একটি নির্দিষ্ট ছাত্র সংগঠন করতেন।’ এদিকে ‘চিরকুট সুপারিশ’ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বলেন, ‘শ্বেতপত্রের জন্য তালিকা তৈরিতে সবকিছুই বিবেচনা করা হবে। লোকাল কমিটি, জোনাল কমিটি, কাউন্সিলর, গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের আত্মীয়স্বজন, পরিবার-পরিজন, যাঁরাই সেই সময়ে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন, সবই তালিকায় থাকবে।’

এদিকে নতুন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কিছু বিধি তৈরি করছে এসএসসি। শিক্ষকের পাশাপাশি শিক্ষাকর্মীও নিয়োগ হবে। একটা জট থেকে বেরিয়ে আসতে হচ্ছে। তার খেসারত আমরা দিচ্ছি। আমার মনে হয়, তার মূল্য চোকানোর সময় হয়ে এসেছে। আমরা গুটিয়ে এনেছি।’