জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে চরম ঝুঁকির সম্মুখীন মানুষের অধিকতর সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সমাজের অংশীজনদের, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে জলবায়ু সম্পর্কিত নীতি ও কার্যক্রম গৃহীত হলে তা বৈশ্বিক অভিঘাত মোকাবিলাকে সহজতর করবে।
জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের চলমান ৫২তম অধিবেশনে এক যৌথ বিবৃতিতে জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মো. সুফিউর রহমান এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের উদ্যোগে গৃহীত যৌথ বিবৃতিটি ৮০টির বেশি দেশ সমর্থন করে।
স্থায়ী প্রতিনিধি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাষ্ট্রদূত বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণগুলো চিহ্নিতকরণ, বিশ্ব সম্প্রদায়ের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য।
মো. সুফিউর রহমান জলবায়ু পরিবর্তনের অতি ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে, বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশ এবং ক্ষুদ্রদ্বীপ রাষ্ট্রগুলোকে অধিকতর আর্থিক, কারিগরি ও অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত সহায়তা প্রদানের জন্য উন্নত দেশগুলোকে তাদের প্রতিশ্রুতি পালনের আহ্বান জানান।
এ ছাড়া তিনি প্যারিস চুক্তির ধারাবাহিকতায় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের অধিকার নিশ্চিতকল্পে জলবায়ু তহবিলের অর্থ ছাড়ের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে সব সদস্য দেশকে কপ-২৮ সম্মেলন সফল করার জন্য বলেন তিনি।
মানবাধিকার পরিষদের চলমান অধিবেশনে বাংলাদেশ অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় একটি যৌথ বিবৃতিতে রাষ্ট্রদূত বলেন, অভিবাসী কর্মীরা তাদের স্বদেশ ও স্বাগতিক দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সত্ত্বেও বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তারা বৈষম্য ও শোষণের শিকার হচ্ছেন। অভিবাসন ও অভিবাসীদের প্রতি নেতিবাচক প্রচারণা বন্ধ করাসহ তাদের প্রতি সব ধরনের বৈষম্য দূরীকরণের জন্য সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের উদ্যোগে প্রতিবছর জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে মানবাধিকারের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব এবং অভিবাসী শ্রমিকদের মানবাধিকার সুরক্ষা বিষয়ক বিবৃতি গ্রহণ করা হয়।