জেল হেফাজতে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু, নিউটাউনে রাস্তায় মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ, ভাঙচূর

জেল হেফাজতে এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র নিউটাউনের শুলঙ্গড়ি এলাকা। বাসিন্দারা মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন। মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার অভিযোগে বাড়ি ভাঙচূর করলেন লাল্টু মুন্সি নামে এক ব্যক্তির।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, স্থানীয় এক কাঠ ব্যবসায়ী শঙ্করলাল জোশির কাছে পাওয়া টাকা আদায় করতে গিয়েছিলেন মৃত অশোক হালদার তাঁর বন্ধু বাবলু হাজরাকে সঙ্গে নিয়ে। কিন্তু ব্যবসায়ী টাকা দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে বসেই তিনি জবানবন্দি দেন, অশোক হালদার ও তাঁর বন্ধু মিলে তাঁকে বিষ খাইয়ে মামার চেষ্টা করেছে। এর পর তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে নিউটাউন থানার পুলিশ অশোক হালদারকে গ্রেফতার করে।

তাঁকে বারাসত আদালতে তোলা হলে বিচারক অশোককে ২৮ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। শুক্রবার তাঁকে দমদম সংশোধনাগারে নিয়ে অশোক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

অশোক হালদারের ছোট মেয়ে বলেন, ‘আমার বাবা জামিন পেয়ে গিয়েছেন। জামিনের কাগজ জেলে পৌঁছতে বাকি ছিল। তার পর কেন তাঁর মৃত্যু হল?’ ঘটনার পর থেকে ব্যবসায়ী শঙ্করলাল জোশি পলাতক। এই ঘটনায় লাল্টু মুন্সি নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা। প্রতিবাদের লাল্টুর বাড়ি ভাঙচূর করেন তাঁরা। এই ঘটনা তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান শম্পা গাইন ও তাঁর স্বামী শিব শঙ্কর গায়েনের প্ররোচনাতেই হয়েছে বলে দাবি করেন বাসিন্দারা।

তাঁরা শুলঙ্গড়ি এলাকায় স্কুলের সামনের রাস্তায় মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।