দল রয়েছে পাশে! ইডির কাছে বড় কথা ফাঁস করে দিচ্ছেন কেষ্ট মণ্ডল, কাঁপবে বাংলা

জেলের ওপারে যাওয়ার পরে একের পর এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে দল। কিন্তু ‘বীর’ অনুব্রতর জন্য় এখনও নরম সুর দলের। শুক্রবার কালীঘাটে দলের গুরুত্বপূর্ণ মিটিং হয়েছিল। কিন্তু সেখানেও কেষ্ট মণ্ডলের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি দল। অনেকের মতে এই খবর যেন এই সংকটের দিনে বাড়তি অক্সিজেন দিয়েছে কেষ্ট মণ্ডলকে। সূত্রের খবর, অনুব্রত নাকি জানিয়েছেন, দল আমার পেছনে রয়েছে। আমার কিছু হবে না। ইডির হেফাজতেও নাকি দ্বিগুণ উৎসাগে টগবগ করছেন অনুব্রত। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠছে বাড়তি উৎসাহের জেরে কি এবার দলকেও বিপাকে ফেলবেন কেষ্ট?

দল পেছনে রয়েছে বলে আসলে ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন তিনি সেটাও এবার জানতে চাইছে ইডি। দলের ঠিক কারা গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের পাশে রয়েছে তা নিয়ে নয়া জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ একদিকে যখন ধৃত অন্যদের পাশ থেকে সরে যাচ্ছে দল তখন অনুব্রত সম্পর্কে এখনও নরম মনোভাব  দলের। এটা অনেককেই বিষ্মিত করছে। তবে কি অনুব্রতকে চটাতে চাইছে না দল? নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করছে ক্রমশ। তবে দলের প্রতি অনুব্রতর এই আস্থার জেরে তদন্ত প্রক্রিয়া এবার অন্যদিকে ঘুরে যাওয়ার সম্ভাবনাও ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। 

এদিকে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ইডির হেফাজত শেষ হচ্ছে কেষ্ট মণ্ডলের। সেক্ষেত্রে রাজধানীর মাটিতে দাঁড়িয়ে অনুব্রতর কাছ থেকে ইডি একটা কথাই জানতে চাইছে গরু পাচারের টাকা কাদের পকেটে যেত? তবে এর সঙ্গেই এবার বড় প্রশ্ন দলের কারা এখনও পাশে রয়েছেন অনুব্রতর?  তবে কি কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায়  অনুব্রত সম্পর্কে নরম মনোভাব দেখানো হচ্ছে দলের শীর্ষ মহল থেকে? তবে এই প্রশ্নের রহস্যভেদ হলেই সামনে চলে আসতে পারে এমন তথ্য যা কাঁপিয়ে দিতে পারে গোটা বাংলাকে। 

তবে ইতিমধ্য়েই অনুব্রতর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তিনি আবার সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সামনে রীতিমতো কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিলেন। তবে তাতে কতটা রেহাই মিলবে সেটাও প্রশ্নের । এদিকে অনুব্রতর মেয়েকেও ফের তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেক্ষেত্রে অনুব্রতর কন্য়া এবার শেষ পর্যন্ত কতটা ফাঁস করেন সেটাই দেখার। তিনি কতটা তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিকে শেষ পর্যন্ত দেন সেটাই দেখার।