চিনের সঙ্গে পরিস্থিতি কিছু জায়গায় ভয়াবহ, জানালেন বিদেশমন্ত্রী, নিশানা রাহুলকেও

পশ্চিম হিমালয়ান রিজিয়নে ভারত ও চিনের মধ্য়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। কিছু এলাকায় সামরিক বাহিনী একে অপরের অত্যন্ত কাছাকাছি মোতায়েন করা রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। 

২০২০ সালের মাঝামাঝি গালওয়ান সেক্টরে ভারত ও চিনের সেনারা পরস্পরের মধ্য়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ২০জন ভারতীয় সেনার শহিদ হয়েছিল। চিনেরও ৪০জন সেনার মৃত্যু হয়েছিল বলে খবর। তবে এরপর থেকে দফায় দফায় ভারত ও চিনের মধ্য়ে আলোচনা চলতে থাকে। তারপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়। মূলত কূটনৈতিক ও সামরিকস্তরে আলোচনা চলছে এখনও। 

এদিকে ডিসেম্বর মাসে ফের ইস্টার্ন সেক্টরে দুপক্ষের মধ্য়ে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তার জেরে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোনও ঘটনা হয়নি। 

তবে ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে উপস্থিত হয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, আমার মনে হচ্ছে ওখানকার যে পরিস্থিতি সেটা বেশ ভঙ্গুর। কিছু জায়গায়  আমাদের সেনা খুব কাছাকাছি মোতায়েন করা রয়েছে। সেনার মূল্যায়ন অনুসারে, পরিস্থিতি ভয়াবহ। 

এদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সম্প্রতি দাবি করেছিলেন চিনের থ্রেট সম্পর্কে ভারতের বিদেশমন্ত্রী একদম বুঝতে পারেন না। এনিয়ে  নিউ দিল্লিতে ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে উপস্থিত হয়ে রাহুলকে নিশানা করেও তির ছুঁড়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি নাম না করে  বলেন কেউ কেউ আবার চিন নিয়ে চোখের জল ফেলছে। এর সঙ্গেই তার সংযোজন পান্ডা হাগার্সরা আবার চিনের হক হতে চাইছে। সাধারণত কমিউনিস্টি চিনের নীতির প্রতি দরদ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের পান্ডা হাগার্স বলে কটাক্ষ করা হয়।

এদিকে রাহুল গান্ধী সম্প্রতি লন্ডনে বসে ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে নিশানা করেছিলেন। এবার পালটা নাম না করে রাহুলকে বিঁধলেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ভারতের নাগরিক হিসাবে যখন দেখি কেউ চিনের জন্য় চোখের জল ফেলছেন তখন তা দেখে অবাক লাগে। তিনি আবার ভারত সম্পর্কে অপমানজনক কথা বলেন। তিনি জানিয়ে দেন, কোনও দেশ সম্পর্কে আপনার বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি থাকতেই পারে। কিন্তু ভারতের জাতীয় পরিস্থিতিকে আপনি অবদমিত করতে পারেন না। 

কার্যত বিদেশে বসে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে একের পর এক তির ছুঁড়েছিলেন  রাহুল গান্ধী। এনিয়ে বিরোধীরা সংসদে বলতে গেলে মাইক অফ করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন রাহুল। তা নিয়ে এবার ক্ষমাও চাইতে বলেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু কংগ্রেস ক্ষমা চাইতে নারাজ।