দাম্পত্য কলহের জের? ওড়নায় ছেলেকে ঝুলিয়ে বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিলেন পারমিতা আহমেদ

নিজেরই ওড়না দিয়ে সাত বছরের পুত্র সন্তানকে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে। পরিচারিকা দেখতে পাওয়ায় তার তৎপরতায় প্রাণে বাঁচল নাবালক। ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ মায়ের। নরেন্দ্রপুর এলাকার একটি অভিজাত আবাসনে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গৃহবধুকে উদ্ধার করে SSKM হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।

কাজে এসে হতবাক পরিচারিকা

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নরেন্দ্রপুরের অভিজাত ওই আবাসনে স্ত্রী পারমিতা আহমেদ ও সাত বছরের ছেলেকে নিয়ে থাকতেন পেশায় বেসরকারি ব্যাঙ্কের আধিকারিক মুনির আহমেদ। সম্প্রতি মুনির ও পারমিতার মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। তারই মধ্যে শুক্রবার সকালে ফ্ল্যাটের ঘরে ৭ বছরের ছেলেকে নিজের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেন পারমিতা আহমেদ। তখন ফ্ল্যাটেই ছিলেন পরিচারিকা অনিমা নস্কর। তিনি শিশুটিকে ঝুলতে দেখে ওড়না কেটে তাকে উদ্ধার করেন। ওদিকে মা ছেলেকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে একথা জানাজানি হতেই ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে নীচে ঝাঁপ দেন পারমিতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। গুরুতর আহত পারমিতাকে উদ্ধার করে SSKM হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটি সুস্থ আছ বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

ঘটনার কথা জানতে পেরে বাড়ি ফেরেন মুনির আহমেদ। এর পর নরেন্দ্রপুর থানায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে ছেলেকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

দাম্পত্য কলহের জের?

জানা গিয়েছে, বোলপুরের বাসিন্দা মুনির আহমেদকে ৭ বছরের প্রণয়ের পর বাড়ির অমতে বিয়ে করেছিলেন পারমিতা আহমেদ নামে ওই গৃহবধূ। পেশায় বেসরকারি ব্যাঙ্কের উচ্চপদস্থ কর্মী মুনির আহমেদ। বিয়ের কয়েক বছর পর তাঁদের একটি পুত্রসন্তান হয়। এর পর কলকাতায় বদলি হন মুনির আহমেদ। নরেন্দ্রপুরের এক অভিজাত আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে সপরিবারে থাকতে শুরু করেন তিনি।

স্থানীয়দের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরে দম্পতির মধ্যে বিবাদ চলছিল। তবে কী নিয়ে বিবাদ তা জানাতে পারেননি কেউ। সেই বিবাদের জেরেই পারমিতা এই কাজ করে থাকতে পারেন বলে মত তাঁদের।