Imran Khan gets protective bail: মাথার ওপর ঝুলছে ৯টি মামলায় গ্রেফতারির খাড়া, DRS নিয়ে আপাতত ক্রিজেই থাকবেন ইমরান খান

একের পর এক মামলায় নাম জড়িয়েছে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রধান ইমরান খানের। পাকিস্তানের এক উচ্চ আদালত শুক্রবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে আটটি সন্ত্রাসবাদের মামলায় এবং একটি দেওয়ানী মামলায় প্রতিরক্ষামূলক জামিন মঞ্জুর করেছে। শুক্রবার ইমরান খান নিজে আদালতে হাজির হয়েছিলেন। এর আগে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই ইমরানের গ্রেফতারির সম্ভাবনায় উত্তাল হয়েছে পাকিস্তান। ইমরানের দল পিটিআই-এর সমর্থকরা ক্যাপ্টেনের বাড়ির সামনে ‘পাহারা’ দিচ্ছিলেন। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ বেঁধেছে পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের। ইমরান নিজে টুইট বার্তায় নিজের প্রাণসংশয়ের দাবি করেন। এই আবহে লাহোর হাই কোর্টে ন’টি মামলায় প্রতিরক্ষামূলক জামিনের আবেদন করেছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। (আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনের পারদ চড়ল মেঘলা দিনে, আজ থেকে শুরু সরকারি কর্মীদের ‘অসহযোগিতা’)

শুক্রবার একটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি করে লাহোর হাই কোর্টে গিয়ে পৌঁছান ইমরান খান। জিও টিভির রিপোর্ট অনুসারে, সন্ত্রাসবাদের ধারায় দায়ের করা মামলাগুলির বিরুদ্ধে দায়ের করা জামিনের আবেদনের শুনানি করেন বিচারপতি তারিক সেলিম শেখ এবং বিচারপতি ফারুক হায়দারের সমন্বয়ে গঠিত দুই সদস্যের বেঞ্চ। হাই কোর্টের বেঞ্চ ক্যাপ্টেনকে স্বস্তি দিয়ে জানায় আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত ইসলামাবাদে দায়ের হওয়া পাঁচটি মামলায় গ্রেফতার করা যাবে না ইমরানকে। লাহোরে দায়ের তিনটি মামলায় ২৭ মার্চ পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না পিটিআই প্রধানকে। এদিকে লাহোরের উচ্চ আদালতের এই নির্দেশের আগেই পাকিস্তানের অপর এক আদালত তোষাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা খারিজ করে এবং জানায়, এই মামলায় ১৮ মার্চ পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন ক্রিকেট তারকাকে।

এর আগে লাহোরে তাঁর বাসভবনে গিয়ে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতারের চেষ্টা করেছিল পুলিশ। ইমরানের বাড়ির কাছে পুলিশ ও জনতার মধ্যে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় গত মঙ্গলবার। এর আগে ইমরান তাঁর সমর্থকদের জন্য় একটি ভিডিয়ো বার্তায় বলেছিলেন, ‘যদি আমাকে জেলেও পোরা হয় তবে শেহবাজ শরিফের সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইটা চালিয়ে যাবেন। আমাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ এসেছিল। তারা ভেবেছে ইমরান খানকে যদি গ্রেফতার করা হয় তবে লোকজন সব ঘুমিয়ে পড়বে। আপনারা এই বিষয়টাকে ভুল প্রমাণিত করুন। আপনাদের জানিয়ে দেবেন যে জনতা জেগে রয়েছে। অধিকারের জন্য় আপনাদের লড়াই করতে হবে। আপনাদের রাস্তায় নেমে আসতে হবে। ঈশ্বর ইমরান খানকে সব কিছু দিয়েছেন। আমি গোটা জীবন লড়াই করে এসেছি। এখনও সেটা করে যাব। কিন্তু আমার যদি কিছু হয়ে যায় তারা যদি আমায় জেলে ঢুকিয়ে দেয় বা মেরে ফেলে তবে আপনাদের ইমরান খানকে ছাড়াই লড়ে যেতে হবে। আপনাদের প্রমাণ করতে হবে যে আপনারা দাসত্বকে মেনে নেননি। এই একনায়কতন্ত্রকে মেনে নেননি। পাকিস্তান জিন্দাবাদ।’