ISL Final: ATK Mohun Bagan Coach Juan Ferrando Wants To Clinch The Trophy As Reward For Hard Work


গোয়া: বিগত দুই মরসুমে সেমিফাইনালে পৌঁছেও খালি হাতেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল এটিকে মোহনবাগানকে (ATK Mohun Bagan)। সেই হতাশা পিছনে ফেলে শনিবাসরীয় ফতোরদা স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরুকে পরাস্ত করে নতুন ইতিহাস লেখার হাতছানি প্রীতম কোটালদের সামনে। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধেই আইএসএলের ফাইনালে (ISL Final) মাঠে নামছে সবুজ-মেরুন। মরসুম জুড়ে একাধিক চোট আঘাতের ধাক্কা সামলে লড়াই করে ফাইনালে পৌঁছতে হয়েছে সবুজ মেরুনকে। 

মরসুমের ‘বিজনেস এন্ডে’ পৌঁছেই ছন্দ খুঁজে পেয়েছে এটিকে মোহনবাগান। কলকাতার ক্লাবটি নিজেদের বিগত পাঁচ ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে। ফাইনালের আগে সবুজ মেরুন কোচ জুয়ান ফেরান্দো (Juan Ferrando) স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছেন দলের সকলের কঠোর পরিশ্রম ও দৃঢ় মানসিকতার সুবাদেই এটিকে মোহনবাগান ফাইনালে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে।

ম্যানেজমেন্টের আস্থা

ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে ফেরান্দোর দাবি তিনি ট্রফি জিতে নিজের কেরিয়ারের উন্নতির কথা ভাবছেন না, বরং খেলোয়াড়রা যে কঠোর পরিশ্রম করেছেন, ম্যানেজমেন্ট তাঁর ওপর যে আস্থা রেখেছে, তারই প্রতিদানস্বরূপ এই আইএসএল ট্রফি জিততে আগ্রহী তিনি। ফেরান্দো বলেন, ‘ফাইনাল জিতে নিজের কেরিয়ারের উন্নতি ঘটানোর কথা ভাবছি না। এখানে সকলের মানসিকতা ভিন্ন এবং আমি এই ক্লাবের কোচ হিসাবে নিজের দায়িত্বটাকে বেশ উপভোগও করছি। এই প্রজেক্টটা আমার বেশ আকর্ষণীয় লেগেছে এবং ক্লাবের সকলেই আমার খেলার ধরনের প্রতি আস্থাও রেখেছেন। কেরিয়ারে চড়াই-উতরাই তো থাকবেই। ম্যানেজমেন্টের সকলে আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন এবং এই ট্রফিটা তাঁদের জন্যই জিততে চাই।’

কঠোর পরিশ্রম

এটিকে মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ আরও বলেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়দের কঠোর পরিশ্রমের ফলেই তো এতদূর পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছি। হোলি হোক বা দূর্গাপুজো হোক বা ক্রিসমাস সবসময় খেলোয়াড়রা পরিশ্রম করেছে। কঠোর সময়েও ওরা সর্বদা দলকেই সবার আগে রেখেছে। তবে এই কঠিন সময় থেকেও কিন্তু আমরা অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সবকিছু বদলে ফেলা সম্ভব। নেতিবাচক মন্তব্য আমাদের মনোবল দুর্বল করতে পারেনি। বরং কঠোন সময়ে আমরা সকলে মিলে আরও বেশি করে পরিশ্রম করেছি। এটিক মোহবাগান ট্রফিটা জিততে পারলে কিন্তু সকলের জন্যই বিষয়টা সুখকর হবে।’

প্রসঙ্গত, ২০২০-২১ মরসুমে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে ফাইনালে এটিকে মোহনবাগানকে পরাজিত হতে হয়েছিল। গত মরসুমে তো ফাইনাল অবধি পৌঁছতেই পারেনি সবুজ মেরুন। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল প্রীতমরদের। এবার সেমিতে ইতিমধ্যেই ফেরান্দোর দল হায়দরাবাদকে হারিয়েছে, এবার তাঁরা আইএসএল খেতাবটাও নিজেদের নামে করতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন: ভারত-অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ওয়ান ডেতে ফিল্ডিংই কি ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিল?