Saayoni Ghosh:মমতার কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরের দিনই দল নিয়ে বোমা ফাটালেন সায়নী

শুক্রবারই কালীঘাটে দলের মিটিংয়ে যুব নেত্রীর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। সূত্রের খবর, তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছিলেন, যুব সংগঠনের প্রসারে ব্যর্থ সায়নী। তারপর সায়নী ক্ষমাও চেয়ে নেন এনিয়ে। তবে তারপরের দিনই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন সায়নী। তবে কি ক্ষমা চাওয়ার জেরে অস্বস্তি বেড়েছে সায়নী ঘোষের? 

সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, দলের এখন এমন একটা সময় চলছে যেখানে আত্মবিশ্লেষন বা আত্মসমালোচনা করা প্রয়োজন। তার শুরুটা আমি নিজেকে দিয়ে করেছি। 

তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন, আমি নিজেকে দিয়ে আত্মবিশ্লেষন শুরু করলাম। নিজেকে নিয়ে ভেবেছি। আমার দিক থেকে আর কী কী করা যায়, কী কী করা যায়নি, ও আগামীদিনে আমি আর কীকী করব। দলের প্রতি আমি দায়বদ্ধ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও যুব সংগঠনের প্রতি আমি দায়বদ্ধ। সেখানে যদি মনে করে থাকি আমার নিজের কোনও খামতি রয়েছে, তা বলতে কোনও দ্বিধাবোধ থাকা উচিত নয়। আর ক্ষমা চাওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, ক্ষমা চাইতেও কোনওরকম লজ্জা নেই।

অনেকেই বলেন তিনি যুব তৃণমূলের দায়িত্ব পাওয়ার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হয়েছে যুব তৃণমূল। কিন্তু বাস্তবের মাটিতে কতটা শক্তিশালী হয়েছে যুব তৃণমূল তা নিয়ে সংশয়টা থেকেই গিয়েছে। তবে অনেকের মতে, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝেই শুক্রবার দলের মিটিংয়ে ক্ষমা চান সায়নী ঘোষ। তিনি নাকি মিটিংয়ে বলেছিলেন, সংগঠন মজবুত করতে পারিনি। যে সময়টা দেওয়া উচিত ছিল সেটা দিতে পারিনি। আগামীদিনে সময় দেব।

তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায় দুজনেই ছিলেন দলের যুব নেতা। দুজনেই এখন নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত। এদিকে সায়নীর সঙ্গে কুন্তলের ছবিও সামনে এসেছে। এনিয়েও নানা কথা উঠছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে দিনের পর দিন ধরে চাকরি চুরির নামে টাকা তুলেছেন যুব তৃণমূলের নেতারা, আর সংগঠনের শীর্ষ পদে থেকে কিছুই জানলেন না সায়নী ঘোষ? এই প্রশ্নটাও উঠতে শুরু করেছে। তবে কি সংগঠনের সব মহল সম্পর্কে খোঁজ নিতেন না সায়নী? নাকি সব জেনেও তিনি চুপ থাকতেন? 

এসব প্রশ্নও উঠছে। তবে সায়নী যেভাবে আত্মসমালোচনা করার কথা বলেছেন তা নিয়েও দলের অন্দরে চর্চা তুঙ্গে। এই সমালোচনা হলে তিনি কি তার বাইরে থাকতে পারবেন? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।