Sheep: চোখের সামনে ছটফট করে মারা গেল দেড়শো ভেড়া,গলসিতে চমকে যাওয়া ঘটনা

পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ থেকে বর্ধমানের গলসিতে ভেড়া চড়াতে এসেছিলেন পশুপালকরা। তাদের দাবি প্রায় ১২০০ ভেড়া তাদের সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু গলসি ২ ব্লকের সাঁকো মিদ্দাপাড়ার মাঠে তারা ভেড়া চড়াচ্ছিলেন। গত চারদিন ধরেই তারা ভেড়া চড়াচ্ছিলেন। কিন্তু আচমকাই চোখের সামনে মারা গেল একের পর এক ভেড়া। একেবারে মাথায় হাত পড়ে যায় পশুপালকদের। কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল এত ভেড়ার?

প্রাণী পালকদের দাবি, ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্য ভেড়াগুলিকে টিকা দেওয়া হত। তার সঙ্গে ওষুধও খাওয়ানো হত। প্রাণী পালকদের দাবি এগুলি কৃমির ওষুধ। এদিকে ঝাড়খণ্ড থেকে আনা সেই ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল ভেড়াগুলিকে। আর তারপরই বিপর্যয়। একের পর এক ভেড়ার মৃত্যু। প্রাণী পালকদের দাবি, সকাল থেকেই একের পর এক ভেড়ার মৃ্ত্যু।  ছটফট করে মারা যায় ভেড়াগুলি। কৃমির ওষুধ খাওয়ার পরেই ভেড়াগুলির মৃত্য়ু হতে থাকে। অন্তত দেড়শোটি ভেড়া মারা গিয়েছে বলে প্রাণী পালকদের দাবি। 

এদিকে এভাবে সারাদিনে দেড়শোটি ভেড়া মারা যাওয়ার ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবে নানা প্রশ্ন উঠেছে। ওই ধরনের ওষুধ কি আগে খাওয়ানো হত না ভেড়াগুলিকে? ওষুধে কী এমন ছিল যে একের পর এক ভেড়ার এভাবে মৃত্যু হল? 

তবে কি ওষুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে যে নিয়ম রয়েছে তা মানা হয়নি? এনিয়ে প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরের আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে আসেন। তারা গোটা ঘটনার ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছেন। তবে প্রাণী পালকদের সূত্রে খবর, প্রতিটি ভেড়ার অনেক দাম। একটি ভেড়ার দাম অন্তত তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা। একের পর এক ভেড়ার মৃত্যুতে তাদের প্রচুর ক্ষতি হয়ে গেল। বহু ভেড়া অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের সুস্থ রাখাটাই এখন তাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।

তবে প্রাণী চিকিৎসকদের মতে, ভেড়ার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তারপরই ব্যাপারটি পরিষ্কার হবে। এগুলির রক্তের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে বাকি ভেড়াগুলির যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেটা দেখা হচ্ছে। তবে মৃত ভেড়াগুলি নিয়ে প্রাণী পালকরা কী করবেন সেটা জানা যায়নি।