সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূলের হারের পিছনে রয়েছে অনৈতিক জোট। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের বিরোধিতায় একযোগে সরব হল বিরোধীরা। রবিবার বিকেলে মমতাকে একযোগে আক্রমণ করে বাম – কংগ্রেস ও বিজেপি। তাদের দাবি, সত্যের থেকে মুখ লুকানোর চেষ্টা করছেন মমতা।
এদিন অধীরবাবু বলেন, ‘সাগরদিঘিতে তৃণমূলের ১৭ শতাংশ ও বিজেপির ১০ শতাংশ ভোট কংগ্রেসের দখলে এসেছে। এর ফলে কংগ্রেস সেখানে ২৩ হাজার ভোটে জিততে পেরেছে। অর্থাৎ তৃণমূল ও বিজেপির প্রতি মানুষের মোহমুক্তি ঘটছে’।
অধীরের অভিযোগ, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মোদীর দালালি করে বিরোধী জোটে অংশগ্রহণ করছেন না। উলটে জোটে ফাটল ধরানোর জন্য সকাল সন্ধ্যা তিনি পরিশ্রম করে চলেছেন। শুধুমাত্র মোদীকে খুশি করার জন্য’।
তাঁর দাবি, ‘তবে একটা জিনিস বুঝতে পারছি। দিদিকে ঠিক জায়গায় আঘাত করতে পেরেছি। নানা রকমের মিটিং তাঁকে করতে হচ্ছে। আমি খুব তৃপ্তি বোধ করছি’।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘নীতি নৈতিকতার কথা মুখ্যমন্ত্রী যত কম বলেন তত ভালো। ২১ সালের নির্বাচনে সাগরদিঘিতে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলেন এমন ৩২ হাজার মানুষ এবার আর তৃণমূলকে ভোট দেননি। উনি নিজের দিকে তাকান’।
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘অপরকে দোষারোপ করে নিজের ব্যর্থতাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাগরদিঘির দায়িত্ব নিয়েছিলেন। হেরে থাকলে অভিষেক হেরেছেন। সেই পরাজয়কে ঢাকার জন্য পরকে দোষারোপ করা যায় না’।
রবিবার মুর্শিদাবাদের নেতাদের সঙ্গে দূরভাষে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, সাগরদিঘিতে সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝানো হয়েছে। ওখানে টাকার খেলা হয়েছে। অধীর চৌধুরী RSSএর সঙ্গে আঁতাত করেছেন।