Ayan Shil Arrest: শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটারকে গ্রেফতার করল ইডি, অয়ন শীল কেমনভাবে জড়িত?

হুগলি–হাওড়া জুড়ে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্রাজ্য ইতিমধ্যেই চাউর হয়েছে। আবার এই শান্তনুর ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (‌ইডি)‌। শান্তনুর বিভিন্ন প্রকল্পে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁকে আটক করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, শান্তনুর ফ্ল্যাটে ডেকেই প্রোমোটার অয়ন শীলকে জিজ্ঞাসবাদ করা হয়েছে। আর তারপরই সল্টলেকে শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটারের অফিসে রাতভর ইডি তল্লাশি চালিয়েছে। অয়ন শীলের এফ ডি ব্লকের ৩৮৮ নম্বর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় অয়ন শীলকে। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

ইডি সূত্রে খবর, অয়নের অফিসে হানা দিয়ে মিলেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি। যা থেকে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যোগ রয়েছে বোঝা যাচ্ছে। নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি মেলায় শান্তনুর সঙ্গে যোগাযোগও স্পষ্ট হযে ওঠে। এখানে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা–সহ কিছু নথিও মিলেছে অয়নের অফিসে। একজন প্রোমোটারের অফিসে এই নথি মেলায় গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। হুগলির বিভিন্ন এলাকায় ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক ডেরায় তল্লাশি চালায় ইডি। হানা দেওয়া হয় ব্যান্ডেলের নিবেদিতা পার্কের বাংলো, বলাগড়ের চাঁদরার অভিজাত রিসর্টে। পরে চুঁচুড়ার জগুদাসপাড়ায় তাঁর একটি ফ্ল্যাটেও যান তদন্তকারীরা। শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের সল্টলেকের ভাড়াবাড়িতেও তল্লাশি করা হয়। সিনেমা প্রযোজনার সঙ্গেও জড়িত অয়ন। তাই ওই বাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল টলিউড নায়ক–নায়িকাদের।

এদিকে সারারাত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অয়ন শীলকে। একাধিক কম্পিউটার ল্যাপটপ অ্যাক্সেস করতে পারছিলেন না ইডি অফিসাররা। তাই অ্যাক্সেস এবং আরও বেশ কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে সল্টলেকের ভাড়ার অফিসে নিয়ে আসা হয়। প্রোমোটার অয়নকে জেরা করার পাশাপাশি তাঁর মা, বাবাকেও জেরা করে ইডি। বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। বেশ কিছু ফাইল দেখা যায় অফিসারদের বেরিয়ে যেতে। অয়নের পরিবার সূত্রে খবর, একাধিক কাগজে অয়নের বাবা সদানন্দ শীলকে দিয়ে সই করিয়েছেন ইডি অফিসাররা।

অন্যদিকে জগুদাসপাড়ার একটি বিলাসবহুল বহুতলে হানা দেয় ইডি। সেখানে দু’টি ফ্ল্যাট একত্র করে পেল্লাই সম্পত্তি রয়েছে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই বহুতলের প্রোমোটার হিসেবে নাম রয়েছে অয়ন শীলের। এই প্রোমোটার জগুদাসপাড়ারই বাসিন্দা। একসময় কম্পিউটার সারানোর কাজ করতেন। জেলার এক বিডিও অফিসে অস্থায়ী কর্মী হিসেবেও নিযুক্ত হয়েছিলেন শান্তনুর সুপারিশেই। ২০১৯ সালে প্রাথমিকে চাকরি বিক্রির অভিযোগে অয়নের বিরুদ্ধে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন কলকাতার বাসিন্দা এক মহিলা। টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি বিনিয়োগ করেছিলেন। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘কাবাড্ডি কাবাড্ডি’ ছবির প্রযোজনা করেছেন এই শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার। সেই ছবির শ্যুটিং অবশ্য শেষ হয়নি। অয়নের বাবা সদানন্দ জানান, তাঁর বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর ছেলে (অয়ন) যুক্ত কি না সেটা জানতে চাওয়া হয়। ছেলে কোনও দুর্নীতিতে জড়িত কি না সেটা জানা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তবে তিনি তদন্তে সহযোগিতা করবেন।