Enemy Property: ঘরশত্রুরা চলে গিয়েছে পাকিস্তানে,১ লাখ কোটির সম্পত্তি বেচবে সরকার

 একেবারে কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের।ভারতে একটা সময় বসবাস করতেন অথচ চিন ও পাকিস্তানের নাগরিকত্ব নিয়ে চলে গিয়েছেন এমন ব্যক্তিদের সম্পত্তি এবার বিক্রি করে দেবে সরকার। ভারতে তাদের যে সম্পত্তি রয়ে গিয়েছে সেখান থেকে উচ্ছেদ ও বিক্রি করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল সরকার। তাদেরকে একেবারে এনিমি পপার্টি(Enemy Property) বলে উল্লেখ করা হচছে। সব মিলিয়ে  ১২,৬১১টি এই ধরনের সম্পত্তি রয়েছে। এর দাম সব মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ কোটি। ভারতে থাকা সেই সম্পত্তি এবার বিক্রি করে দেওয়ার পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। 

Enemy property Act অনুসারে কাস্টডিয়ান অফ এনিমি প্রপার্টি ফর ইন্ডিয়া অনুসারে এই শত্রুর সম্পত্তিগুলিকে এবার বাজেয়াপ্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নোটিফিকেশন অনুসারে জেলাশাসক ও ডেপুটি কমিশনারের মাধ্যমে এই সম্পত্তিগুলিকে নির্ধারন করা হয়। 

এদিকে সেই সম্পত্তির দাম যদি ১ কোটির থেকে কম হয় তবে প্রথমে ওই সম্পত্তিতে যারা রয়েছেন তাদের এটা কিনে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে ওই সম্পত্তিতে যারা রয়েছেন তারা যদি এটা কিনতে না চান তবে গাইডলাইন মেনে সেই সম্পত্তিকে অন্যত্র বিক্রি করে দেওয়া হয়। 

এদিকে নিয়ম অনুসারে সেই সম্পত্তির মধ্যে যেগুলির মূল্য ১ কোটি বা ১০০ কোটির নীচে তখন CEPI এর মাধ্যমে ই-নিলাম করা হয়। এটা যদি না করা যায় তবে কেন্দ্রীয় সরকার এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। এনিমি প্রপার্টি ডিজপোজাল কমিটি এর সিদ্ধান্ত নেয়। 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, পাবলিক এন্টারপ্রাইজের ই-অকশন প্লাটফর্ম, দ্য মেটাল স্ক্র্যাপ ট্রেড কর্পোরেশন লিমিটেডকে ব্যবহার করে CEPI। তারাই এই শত্রুর সম্পত্তিকে ই নিলাম করে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। 

এদিকে সূত্রের খবর, সরকার বিশেষ অস্থাবর সম্পত্তি যেমন শেয়ার ও সোনা বিক্রি করে সরকার ইতিমধ্যে ৩৪০০ কোটি টাকা উপায় করেছে। এগুলি সবই সেই নাগরিকদের ছিল যারা পরবর্তীকে চিন বা পাকিস্তানের নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন। তাদেরকে শত্রুর সম্পত্তি হিসাবেই গণ্য করে। তবে এগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অস্থাবর সম্পত্তি ছিল। এবার ১২,৬১১টি স্থাবর সম্পত্তি বিক্রির পথে হাঁটছে সরকার। এবার সেই শত্রুদের সম্পত্তি বিক্রি করে ঠিক কতটাকা আয় করতে পারে সরকার সেটাই এখন দেখার। 

তবে এবার প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এই সম্পত্তি বিক্রি করে সরকার প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা আয় করতে পারে।