Mamata Banerjee: নজরে ২০২৪, উন্নয়নের খতিয়ান হাতে পঞ্চায়েত থেকেই বাড়ি বাড়ি যাবে তৃণমূল

দুয়ারে কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত ভোট মিটলেই পরের বছর লোকসভা নির্বাচন। তবে পঞ্চায়েত ভোট থেকে লোকসভা নির্বাচনের সলতে পাকানো শুরু করে দিতে চাইছে তৃণমূল। গ্রামে গ্রামে ঘুরবেন নেতারা। তাঁদের হাতে থাকবেন ‘হ্যান্ডবুক’। যে ‘হ্যান্ডবুক’ আসলে তৃণমূল সরকারের ১১ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান। সেই খতিয়ান হাতে করে বাড়ি বাড়ি প্রচারে যাবেন দলের নেতারা। সেই ‘হ্যান্ডবুক’ দেখিয়ে মানুষকে জানাবেন, এই ১১ বছরে কী কী উন্নয়ন তৃণমূল কংগ্রেস করেছে। দলনেত্রীর নির্দেশ তেমনই।

গত শুক্রবার কালীঘাটের বৈঠকে এই ‘হ্যান্ডবুক’ দলের নেতা হাতে তুলে দিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,’রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর কী কী কাজ তৃণমূল সরকার করেছে তার সবটা এক জায়গায় করে পুস্তিকা করে দেওয়া হল। মানুষের এগুলো দেখান। তাঁদের, এ সব তাঁদের জন্য তৃণমূল সরকার করেছে। তাঁরা এই সব সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন কি না মিলিয়ে নিন।’

ইতিমধ্যেই দিদির দূত হয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরেছেন সাংসদ-বিধায়করা। তারা গিয়ে মানুষের কাছে বলছেন তৃণমূল সরকারের নানা সামাজিক প্রকল্পের কথা। যাদের যা দরকার সে সবই সব প্রকল্পের সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন কি না জানছেন দিদির দূতেরা। তাঁদের আবার বিভিন্ন জেলায় জনতার বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছে। সেই বিক্ষোভের সংখ্যা নেহাত কম নয়। এবার আরও গুছিয়ে জনসংযোগ জোর দিতে চাইছেন দলনেত্রী। আর সে কারণে ‘হ্যান্ডবুক’ হাতে নিয়ে গ্রামে-শহরে যাওয়ার নির্দেশ। (পড়তে পারেন। আজ জেলা বৈঠক শুরু করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো, তালিকার শীর্ষে রয়েছে সাগরদিঘি)

‘উন্নয়নের পথে’ নামাঙ্কিত পঞ্চাশ পাতার এই ‘হ্যান্ডবুক’-এর প্রথম পাতায় লেখা হয়েছে,’১১ বছর আগে, ২০১১ সালে আমাদের সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন রাজ্যের বেহাল দশা। আমাদের নিরলস চেষ্টার ফলেই, নানা বাধা সত্ত্বেও গত ১১ বছরে বাংলার বুকে এসেছে উন্নয়নের জোয়ার। এই রাজ্য আজ উন্নয়নের ক্ষেত্রে সারা দেশকে পথ দেখাচ্ছে। জীবনযাত্রা প্রতিটি ক্ষেত্রে রাজ্যকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিতে পেরেছি আমরা।’

এর মাঝে রয়েছে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প ও অন্যান্য ক্ষেত্রে তৃণমূল সরকার যা যা করেছে তার খতিয়ান। একেবারে পয়েন্ট করে দিয়ে।

পুস্তিকা শেষ হয়েছে, ‘এ সব কিছুর মধ্যে বাংলা এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। এখানে ধর্ম, বর্ণ, জাতপাত নিয়ে কোনও হানাহানি নেই। মানুষের উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। আগামিদিনে বাংলার উন্নয়নের এই মডেলই ভারতকে এক নতুন দিশা দেখাবে।’ এই লেখা দিয়ে। অর্থাৎ লোকসভা ভোটের সলতে পাকিয়ে রাখা এই পুস্তিকা থেকেই।

রাজ্যে যখন মানুষের চর্চার অন্যতম বিষয় হল দুর্নীতি, কোটি কোটি টাকা, রির্সট, হোটেল। তখন ‘পাই টু পাই’ উন্নয়নের খতিয়ান মানুষের কাছে তুলে ধরে তৃণমূল নেত্রী জানিয়ে দিতে চাইছেন ১১ বছরে রাজ্য উন্নয়নও হয়েছে।