Matua Maha Mela: মতুয়া মহামেলা নিয়ে ফের বার্তা মোদীর, ভক্তের জোয়ার ঠাকুরনগরে

মতুয়া ধর্মগুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১২তম জন্মতিথি। রবিবার থেকে ঠাকুরনগরে শুরু হয়েছে মতুয়া ধর্ম মহামেলা। শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী এনিয়ে টুইট করেছিলেন। রবিবার ফের এই অনুষ্ঠানের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেছেন।

রবিবার প্রধানমন্ত্রী টুইট করে লিখেছেন, শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরজীকে তাঁর জন্মজয়ন্তীতে নতমস্তকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাচ্ছি। অসাম্য দূর করতে ও সম্প্রীতি আনতে তাঁর ভূমিকা অতুলনীয়। তিনি সামাজিক সাম্যের উপর জোর দিয়েছিলেন, মানুষের মধ্য়ে শিক্ষার প্রসারে তিনি উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাঁর আদর্শ পূরণের জন্য় আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। এভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেছেন।

মতুয়া সম্প্রয়াদের অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হল এই মতুয়া মহামেলা। এর আগে মতুয়া মহামেলা নিয়ে একেবারে বাংলায় টুইট করেছিলেন মোদী। তিনি লিখেছিলেন, এক অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হল এই মতুয়া মহামেলা। যেটি মতুয়া সম্প্রদায়ের স্পন্দমান সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। এর সঙ্গেই সকলকে এই মেলাতে অংশগ্রহণ করার জন্য তিনি আবেদন করেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, দয়া ও সেবার পথ দেখানোর জন্য ঠাকুর শ্রীশ্রী হরিচাঁদজীর প্রতি মানবজাতি চিরঋণী হয়ে থাকবে।

এদিকে একেবারে জমে উঠেছে মতুয়া মহামেলা। রবিবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে পূণ্যস্নান। সাতদিন ধরে চলবে এই মহামেলা। এদিকে গত বছর করোনা পরিস্থিতির জেরে এই মেলাতে কিছুটা ভাটা পড়েছিল। অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছিলেন, আশা করছি এবার ধর্ম মহামেলা উপলক্ষ্যে ৪০ লক্ষ ভক্ত পূণ্যস্নান করতে আসবেন।

এদিকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকাকে। অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পও থাকছে এলাকায়। ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য় নানা ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ভক্তির স্রোতে ভাসছে ঠাকুরনগর।

কথিত আছে বাংলাদেশের ওরাকান্দিতে এই ধর্ম মহামেলার সূচনা হয়েছিল। পরবর্তীতে তার রেশ ছড়িয়ে পড়ে বাংলাতেও। ১৯৪৮সাল থেকে এই মতুয়া মহামেলার আয়োজন করা শুরু হয় ঠাকুরনগরে। বর্তমানে মতুম মহামেলা উপলক্ষ্যে বিশেষ ট্রেনেরও ব্যবস্থা করা হয়। শুধু এই বাংলা থেকে নয়, ভিনরাজ্য থেকেও এখানে ভক্তরা আসেন। ভক্তির রসে ডুব দেন তারা। ডঙ্কা বাজিয়ে ঠাকুরনগরের পথে রওনা দেন ভক্তরা। ঠাকুরনগর তাঁদের কাছে পূণ্যভূমি।