TET Scam: বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা আসতে পারেন আপনার দুয়ারেও, ঘুম ভাঙাতে নয়া কৌশল

এবার আর গান্ধীমূর্তির পাদদেশে, কিংবা ধর্মতলায় আবদ্ধ থাকবে না বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন। এবার একেবারে অভিনব পরিকল্পনা নিচ্ছেন তারা। এনিয়ে ইতিমধ্যেই কাজে নেমে পড়লেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। এবার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সই সংগ্রহ করবেন তাঁরা। সব মিলিয়ে ৫০ লাখ সই সংগ্রহের টার্গেট নিচ্ছেন তারা। এরপর হবে নবান্ন অভিযান। এমনকী প্রয়োজনে তারা হাটে বাজারে, বাসিন্দাদের বাড়িতে গিয়েও এই সই সংগ্রহ করতে পারেন।

রবিবার তাঁদের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য, সমাজকর্মী মীরাতুন নাহার, মৌসুমী কয়াল প্রমুখ। এদিন মীরাতুন নাহার জানিয়েছেন, আমাদের বর্তমান রাজ্য সরকার পাঁচটি অন্যায় পরপর করেছেন। ঘটা করে শিক্ষক নিয়োগের যে পরীক্ষা নিয়েছে সেখানে অনিয়ম হয়েছেন। যোগ্যরা চাকরি পাননি। অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যাঁকে মানেন, আমি মনে করি তিনি শাসকদলনেত্রী। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি।যারা চোরাপথে চাকরি পেয়েছেন তাদের হয়ে তিনি সওয়াল করছেন। তিনি সিভিক ভলান্টিয়ার্সদের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগের ছাড়পত্র নিয়েছেন। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হিসাবে তাদের নিয়োগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা অন্য়ায়। 

মৌসুমী কয়াল বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেলা খেলা সব করে বেড়াচ্ছেন। তিনিই বলেছিলেন সব নাকি ডবল ডবল চাকরি হবে। সত্যিই তিনি প্রমাণ করে দিলেন ডবল ডবল চাকরি হচ্ছে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের শিক্ষক হিসাবে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। তারা নাকি পড়াবে। যারা যোগ্য তারা চাকরি পেলেন না। এই সই সংগ্রহ অভিযান এদিন থেকে শুরু হল। সকলকে অনুরোধ করছি এই চুরি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের পাশে এসে দাঁড়ান। আপনাদের কাছে হাত জোড় করে এই অনুরোধ করছি। 

দিনের পর দিন ধরে তারা কলকাতার রাস্তায় ধর্নায় বসে রয়েছেন। সকাল গড়িয়ে রাত আসে। মাসের পর মাস চলে যায়। বছর কেটে যায়। তবুও তাদের দাবি পূরণ হয় না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। নানাভাবে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। কিন্তু তবুও চাকরি জোটেনি তাঁদের। এদিকে একের পর এক তৃণমূল নেতা চাকরি চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। আরও নেতা কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজরদারিতে রয়েছেন। উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ঘুরপথে চাকরি পেয়েছেন যারা তাদের অনেকের চাকরি গিয়েছে। তারপরেও বঞ্চিতদের চাকরি জোটেনি।  এবার তারাই যাবেন সই সংগ্রহ অভিযানে। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিষয়টি দেখা দরকার।