Twelve Fox Died: একসঙ্গে ১২টি শিয়ালের মৃত্যু ডোমকলে, কেমন করে এমন নির্মম ঘটনা ঘটল?‌

কৃষকরা মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন। আর তখনই হঠাৎ বিদ্যুতের শক লাগে তাঁদের। এই ঘটনায় রীতিমত আলোড়ন পড়ে যায়। কারণ শরীরে বিদ্যুতের শক লাগতেই চমকে ওঠেন সকলে। তৎক্ষণাৎ এক কৃষক ছুটে গিয়ে বাকিদের জানান। কিন্তু তারই মধ্যে হল বড় বিপদ। মাঠের মধ্যে পড়ে একের পর এক শিয়ালের দেহ। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় শিয়ালগুলির বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে ডোমকলের আমিনাবাদ বিশ্বাসপাড়া এলাকায়। ডোমকলের অম্বরপুর এলাকায় ৪ নম্বর ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় মাঠের ১১ হাজার ভোল্টেজের তার দিয়ে। সেই তার ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

ঠিক কী ঘটেছে ডোমকলে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, এই ঘটনায় ডোমকল বিদ্যুৎ দফতর ও অফিসারদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাসিন্দারা। কারণ ডোমকল থেকে আমিনাবাদ ভায়া হয়ে অম্বরপুর এলাকায় ৪ নম্বর ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয় মাঠে ১১ হাজার ভোল্টেজের তার দিয়ে। আজ, রবিবার সকালে দুর্বল অবস্থা থাকা তারের একাংশ হঠাৎ মাটিতে ছিঁড়ে পড়ে। তখন ওই এলাকারই এক কৃষক মাঠে কৃষিকাজে যান। ওই তারের কাছে যেতেই তার শক লাগে তাঁর। তখন এলাকার বাকিদের জানান তিনি। যদিও মুহূর্তে স্থানীয় এক কম্পিউটার দোকানদার বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলে ৪ নম্বর ফিডার সাটডাউন করা হয়। ওই সময়ের মধ্যেই এক এক করে ১২টি শিয়ালের মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। যাদের সঙ্গে তারের সংষ্পর্শ ছিল। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ছেঁড়া তার মেরামত করেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা।

তারপর ঠিক কী হল?‌ এই খবর চাউর হয়ে যেতেই বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বিদ্যুৎ দফতর থেকে এসে তার মেরামত করে দেওয়া হয়। তবে অভিযোগ পেয়ে দেরি করে আসায় বিদ্যুৎ দফতর ও অফিসারদের উপর ক্ষোভ উগড়ে দেন গ্রামবাসীরা। তারপর ডোমকল পৌরসভার গাড়ি এসে মৃত ১২টি শিয়ালকে উদ্ধার করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও এই ঘটনায় স্থানীয়রা ডোমকল বিদ্যুৎ দফতর ও অফিসারদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ঠিক কী বলছেন গ্রামবাসীরা?‌ এই ঘটনায় গ্রামবাসীরা ক্ষোভ উগড়ে দেন। গ্রামবাসী হোসেন মণ্ডল বলেন, ‘‌বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। কৃষকরা রাতে মাঠে জল দিতে যায়। যে কোনও সময় বড় ধরনের বিপদ ঘটে যেতে পারে। আমরা একাধিকবার অফিসে অভিযোগ জানালেও তড়িঘড়ি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’‌ একসঙ্গে এত শিয়াল খাবারের খোঁজে ওখানে দফায় দফায় এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে। বন দফতরও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।