সংখ্যালঘুদের জন্য কী করেছেন নওশাদ? বিধায়কের গায়ে হাত তুলেও ক্ষমা চাইবেন না তোতা

ডিএর দাবিতে সরকারি কর্মীদের ধর্নামঞ্চ। সেখানেই গিয়েছিলেন ভাঙরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। আর সেই মঞ্চেই কথা বলার সময় নওশাদের গায়ে হাত তুলে দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। পরে জানা যায় তিনি হলেন শেখ আব্দুল সালাম ওরফে তোতা। তিনি হাওড়ার বাঁকরার ২ নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। তবে তার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে নানা কথা শোনা যাচ্ছিল। তবে এবার তিনি নিজেই তার রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি নিজেকে শাসকদলের লোক বলেই উল্লেখ করেছেন। কিন্তু বিধায়কের গায়ে হাত দিয়েও তিনি এতটুকু অনুতপ্ত নন। কেন তিনি এমন আচরণ করলেন?

জামিন পাওয়ার পরে বাঁকরার বাড়িতে ফিরে যান তিনি। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, নওশাদ ডিএ মঞ্চ থেকে বাংলায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছেন। এর সঙ্গেই ফের তিনি সেই একই প্রশ্ন তোলেন , নওশাদ সংখ্য়ালঘুদের জন্য় কী করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন দীর্ঘদিন ধরে তিনি রাজনীতি করছেন। তৃণমূলের সঙ্গেও যুক্ত। তবে তিনি জানিয়েছেন গত দুবছর ধরে তিনি এলাকাছাড়া। তবে তার কারণটা জানা যায়নি।

কার্যত বিধায়কের গায়ে হাত তুলেও তিনি একেবারেই ভুল স্বীকার করতে রাজি নন। তার দাবি নওশাদ সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের জন্য কী করেছেন?

সূত্রের খবর, রবিবারও তিনি এই প্রশ্নটাই করছিলেন নওশাদকে। কিছুক্ষণের কথাবার্তা। কিন্তু তারপরেই তিনি চড়াও হন নওশাদের উপর। তবে দ্রুত ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন ডি এ আন্দোলনকারী। এরপর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে। তবে বর্তমানে তার রাজনৈতিক অবস্থান কী তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যায়। তবে গ্রেফতার হওয়ার পরে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে জামিন পাওয়ার পরে এবার তোতা নিজেই তার রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তার কথায় তিনি শাসকদলের সঙ্গেই যুক্ত। কিন্তু তিনি ভুল স্বীকার করতে রাজি নন।

এবার প্রশ্ন তিনি কি পরিকল্পিতভাবেই এসেছিলেন ডি এ মঞ্চে? এর সঙ্গেই বিধায়ক নওশাদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তিনি রবিবারই জানিয়েছিলেন, ডিএ পাওয়ার অধিকার সরকারি কর্মীদের রয়েছে। তারা তাদের অবস্থান বজায় রাখুন।

কিন্তু সংখ্যালঘুদের নিয়ে প্রশ্ন করতে এসে এভাবে নওশাদ সিদ্দিকীকে আক্রমণ করার ঘটনাকে ঘিরে গোটা বাংলায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।