India Vs Australia, 3rd ODI: Brett Lee Backs For Umran Malik’s Inclusion In Indian Team Against Australia


চেন্নাই : মরণ-বাঁচন ম্যাচ। চেন্নাইয়ের চিদম্বরম স্টেডিয়ামে (MA Chidambaram Stadium in Chennai) ম্যাচ যার, সিরিজও তার। এমন অবস্থায় বুধবারের ম্যাচে কি বদল আসতে চলেছে ভারতীয় স্কোয়াডে ? তুলনামূলক রুক্ষ ও ঘূর্ণি পিচে কি প্রাধান্য দেওয়া হয়ে বাড়তি স্পিনার খেলানোয়, নাকি বাড়তি পেসার খেলিয়ে পাল্টা অজিদের চাপে রাখার চেষ্টা করবে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। এই অবস্থায় উমরান মালিককে (Umran Malik) সুযোগ দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছেন ব্রেট লি (Breet Lee)। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন কিংবদন্তী পেসারের মতে, উমরানের সুযোগ পাওয়া উচিত। 

ব্রেট লি বলেছেন, ‘ওঁর (উমরান মালিক) বোলিং খুব ভাল লাগে। কেন নয়, সুযোগ দেওয়া উচিত ওঁকে তৃতীয় একদিনের আন্তর্জাতিকে। গতবছরও বলেছিলাম, অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপে সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল উমরানকে। দলে থাকলে প্রথম একাদশে খেলার প্রথম পছন্দই হত ও। যে গতিতে বলটা ও করতে পারে, সেটাই সবথেকে বড় অ্যাডভান্টেজ।’

প্রসঙ্গত, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম একদিনের ম্যাচে ১০ ওভারের বেশি বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল ভারত। যে ম্যাচে দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন কেএল রাহুল। যদিও ভাইজ্যাগে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে কার্যত ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল ভারতকে। ১১৭ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল ভারতের ইনিংস। মিচেল স্টার্কের বিধ্বংসী বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দাপটে ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। একদিনের আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে ভারতের যেটি সবথেকে বড় ব্যবধানে হার। 

প্রসঙ্গত, চেন্নাইয়ের পিচ সাধারণত স্পিনারদেরই সাহায্য করে থাকে। পাশাপাশি চিদম্বরম স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইটের নিচে বরাবর রান তাড়া করার কাজটা খানিক সুবিধা হয়ে দাঁড়ায়। গত একদিনের ম্যাচে লাইটের নিচে ২৮৮ রান তাড়া করে ম্যাচ বের করে নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে গত বেশ কয়েকটি ম্যাচের খতিয়ান দেখলে বলতে হয়, প্রথমে ব্যাট করে বড় রান তোলা দলই জিতেচে বেশিরভাগ ম্যাচে। পরে ব্যাট করতে নেমে রান তাড়া করার কাজটা হয়ে ওঠে কঠিন। কারণ, খেলা যত এগোয়, পিচ ততই আরও রুক্ষ হতে থাকে। আর যার জেরে ক্রমশ বাড়তি সুবিধা পান স্পিনাররা। 

প্রথমে ব্যাট করার ক্ষেত্রে বল তুলনামূল ভালভাবে ব্যাটে আসে। যার জেরে সুবিধা হয় স্ট্রোক প্লে-তে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করার ক্ষেত্রে যা হয়ে ওঠে কঠিন। পাশাপাশি পিচ রুক্ষ ও স্পিন সহায়ক হয়ে ওঠার পেসারদের ক্ষেত্রে গতির থেকেও উইকেট তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি প্রাধান্য পায় বোলিংয়ের বৈচিত্র্য। চেন্নাইয়ের মাঠে খেলা ২১ টি একদিনের আন্তর্জাতিক ধরলে সেখানে গড় স্কোর ২৫৯ রান।