দুর্গাপুরে স্ত্রী – সন্তানসহ যুবকের আত্মহত্যায় মা-সহ গ্রেফতার ৩

পারিবারিক বিবাদের জেরে দুর্গাপুরে শিশুসন্তানসহ দম্পতির আত্মহত্যার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। নিহত বধূর বাবার অভিযোগের বিরুদ্ধে নিহত যুবকের মা, মামাতো ভাই তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেয় পুলিশ।

রবিবার সকালে দুর্গাপুরের কু়ড়ুরিয়া ডাঙার বাড়ি থেকে অমিত মণ্ডল (৪২), স্ত্রী রূপা মণ্ডল (৩৪), ছেলে নিমিত (৭) ও মেয়ে নিকিতা (১) এর দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্ত্রী ও সন্তানদের খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন পেশায় জমি – বাড়ির ব্যবসায়ী অমিত। এর পর নিহতের মাসতুতো বোন জানান, পরিবরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সুইসাইড নোট লিখে রেখে গিয়েছেন অমিত। সেখানে মা বুলারানি মণ্ডল, এক মামাতো ভাই ও আরেক মামাতো ভাইয়ের স্ত্রীকে দায়ী করেছেন তিনি। এর পর দুর্গাপুর থানায় অমিতের পরিবারের ২০ জন সদস্যের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেন নিহত রূপার বাবা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার অমিতের মা বুলারানি মণ্ডল, মামাতো ভাই প্রশান্ত নায়েক ও আরেক মামাতো ভাইয়ের  স্ত্রী শীলা নায়েককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে কী কারণে অমিত সপরিবারে আত্মহত্যা করলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এই ঘটনার সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির যোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন অমিতের পরিবারের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, অমিতের কয়েকজন আত্মীয় টেট না দিয়েই ২০১২ সালে প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছিলেন। সেকথা জেনে যান অমিত। দুর্নীতির কথা প্রকাশ্যে আনায় তাঁকে নানা ভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। যার জেরে এই আত্মহত্যা। এই আত্মহত্যার ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে মামলা দায়ের হয়েছে।