পরীক্ষায় কাঁচকলা, বকুনি থেকে বাঁচতে পুলিশকাকুকে শ্লীলতাহানির গল্প শোনাল ছাত্রী

পরীক্ষা খারাপ হয়েছিল এক ছাত্রীর। কিন্তু বাড়িতে তার জন্য তাকে বকুনি খেতে হত। আর সেই আতঙ্কে এবার শ্লীলতাহানির গল্প ফেঁদে ফেলে এক ছাত্রী। ১৪ বছরের ওই মেয়ের কীর্তির কথা জেনে হতবাক দিল্লি পুলিশের দুঁদে কর্তারাও। তবে শেষ পর্যন্ত সে পুলিশের কাছে গোটা বিষয়টি খুলে বলে। তারপরই জানা যায় আসলে সে বকুনি থেকে বাঁচতে এসব করেছে। শেষ পর্যন্ত অপহরণ ও শ্লীলতাহানির মামলা বাতিল করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে বয়ান রেকর্ড করার পরেই পুলিশ এব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়। পুরোটা জানলে অবাক হবেন আপনিও।

ভজনপুরা এলাকায় ওই কিশোরী তার পরিবারের সঙ্গে থাকে। কাছেই একটি প্রাইভেট স্কুলে সে পড়াশোনা করত। সে ক্লাস টেন এর বোর্ডের পরীক্ষায় বসেছিল। কিন্তু সোশ্য়াল স্টাডিজ পরীক্ষা তার খারাপ হয়। এদিকে বাবা মায়ের বকুনি খাওয়ার ভয়ে সে একটি পরিকল্পনা করে ফেলে। এমনটাই জানিয়েছেন ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ জয় তিরকি। ঠিক কী পরিকল্পনা ছিল তার?

এদিকে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে, স্কুলের কাছে কয়েকজন যুবক তার উপর চড়াও হয়েছে। তার নাকি হাত কেটে গিয়েছে। ডিসিপি জানিয়েছেন, মেয়েটি আমাদের বলেছিল সে স্কুল থেকে ফিরছিল। সেই সময় কয়েকজন তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তারা তার শ্লীলতাহানি করে। এদিকে এরপরই পুলিশ শ্লীলতাহানি ও অপহরণের মামলা শুরু করে। এরপর তার ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়ে অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করে দেয়। পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায়। কারা এর পেছনে রয়েছে সেটা পুলিশ খতিয়ে দেখা শুরু করে। কিন্তু সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায় সে একলাই যাচ্ছে। তাহলে হলটা কী?

এরপর মহিলা অফিসাররা তার কাউন্সেলিং শুরু করে। একটা সময় সে বলে ফেলে বাবার বকুনি থেকে বাঁচতেই সে গল্প সাজিয়েছিল। পরীক্ষার পরে সে একটি ব্লেড কিনেছিল আর কিছু স্ন্যাক্স কেনে। এরপর সে নিজেই তার দেহে আঘাত করে। তারপরই সে পুলিশকে জানায়।

এরপর পুলিশ রবিবার ওই ছাত্রীকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে সে তার বয়ান রেকর্ড করে। সে জানায় নিজেই এই গল্প সাজিয়েছিল। বকুনির ভয়েই সে এই কাজ করেছিল। এর পেছনে অন্য কেউ নেই। পুলিশ জানিয়েছে, তার বয়ানের ভিত্তিতে মামলাটি বাতিল করা হয়েছে।