মেয়ের নামে বাড়িয়ে বলা হচ্ছে, সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলে বললেন শ্বেতা চক্রবর্তীর বাবা

অয়ন শীলের সঙ্গে শ্বেতা চক্রবর্তীর যোগাযোগের কথা স্বীকার করলেও মেয়ে দুর্নীতিতে যুক্ত বলে মানতে অস্বীকার করলেন বাবা। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমার মেয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। নিজের যোগ্যতায় টাকা জমিয়েছে ও। অয়ন শীল ওর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের অপব্যবহার করে থাকতে পারে। সেটা খতিয়ে দেখুক ইডি।

রবিবার বিকেল থেকে ম্যারাথন তল্লাশিতে বিধাননগরের এফডি ৩৮৮ নম্বর বাড়িতে বিভিন্ন নথির সঙ্গে উদ্ধার হয় ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি। ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাউন্টের মধ্যে ১টি অ্যাকাউন্ট নৈহাটির শ্বেতা চক্রবর্তীর বলে জানা যায়। সেই অ্যাকাউন্টে অয়ন লক্ষ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন বলে ইডি সূত্রে খবর। সোমবার সকাল থেকে শ্বেতার নাম নিয়ো শোরগোল শুরু হয় সংবামাধ্যমে। তার পরই মুখ খোলেন তাঁর বাবা।

মঙ্গলবার সকালে নৈহাটির বিজয়নগরের বাড়িতে শ্বেতার বাবা বলেন, আমার মেয়ে পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। দীর্ঘদিন পঞ্চায়েতে চাকরি করে সে। প্রোমোটারির ব্যবসা নিয়ে অয়ন শীলের স্ত্রী কাকলির সঙ্গে মেয়ের পরিচয় হয়। কাকলিই ওকে অয়নের সংস্থার হয়ে মডেলিং করার প্রস্তাব দেয়। সঙ্গে অয়নের নির্মাণপ্রকল্পগুলি দেখভালের দায়িত্ব দেন শ্বেতাকে। এর পর অয়ন শীল শ্বেতাকে নিজের সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর নিযুক্ত করেন। তাঁর ছবি দিয়ে সংস্থার ডায়েরি সহ বিভিন্ন প্রচার সামগ্রী তৈরি করেন।

তিনি বলেন, আমাদের যে গাড়ি নিয়ে বিতর্ক তার কিছু টাকা শ্বেতার নিজের। লাখ পাঁচেক টাকা অয়ন দিয়ে থাকতে পারেন। সেটা তো ওর পারিশ্রমিক। কিন্তু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবই রেখে দিয়ে অয়ন কোনও অপব্যবহার করেছে কি না সেটা আমরা জানি না।

অবসরপ্রাপ্ত এই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী বলেন, শ্বেতাকে সংসারে টাকা দিতে হয় না। ওর নামে যা রটানো হচ্ছে তা ঠিক নয়।