স্কুলের ভিতরে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

রাজ্যে ফের স্কুলের ভিতরেই নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ। আলিপুরদুয়ারের শামুকতলায় স্কুলের ভিতরেই আদিবাসী নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠল ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের। অভিযোগ পেয়ে সৌমিত্র মণ্ডল নামে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে আগেও এই ধরণের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা। তাঁকে অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত।

ঘটনা শামুকতলার জিৎপুর মিশন জুনিয়র হাই স্কুলের। অভিযোগ, সোমবার স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে দোতলার কম্পিউটার রুমে ডেকে নিয়ে যান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সৌমিত্র মণ্ডল। সেখানে ফাঁকা ঘরে ছাত্রীটিকে যৌন নিগ্রহ করেন তিনি। বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকেদের ঘটনার কথা জানায় আদিবাসী কিশোরী। গভীর রাতে শামুকতলা থানায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে ছাত্রীর পরিবার।

অভিযোগ পেয়েই তৎপর হয় পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে আলিপুরদুয়ার শহরের আনন্দনগরের ভাড়াবাড়ি থেকে সৌমিত্র মণ্ডলকে গ্রেফতার করেন পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনের ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এই ঘটনায় আতঙ্কিত স্কুলের ছাত্রীদের অভিভাবকরা। এক অভিভাবক জানান, সৌমিত্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে এর আগেও এই ধরণের ৩টি ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে। জরিমানা দিয়ে তিন বার পার পেয়েছেন তিনি। এবার তিনি যা করেছেন তার পর বাবা – মায়েরা মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। আমরা চাই ওই শিক্ষক যেন এই স্কুলে আর ঢুকতে না পারেন।

বলে রাখি, এই নিয়ে ৩ দিনে রাজ্যে ২ জায়গায় স্কুলের ভিতরেই ধর্ষণের শিকার হল নাবালিকা। গত শনিবার মালদার গাজোলের একটি স্কুলে একই ভাবে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে দোতলার ঘরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে ৩ বহিরাগত যুবক। পর পর একই ধরণের ঘটনায় রাজ্যে স্কুলের ভিতরে নাবালিকাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।