নয়াদিল্লি: এল ক্লাসিকো জয়ের পর বর্তমানে লা লিগা তালিকার শীর্ষে রয়েছে বার্সেলোনা (Barcelona)। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের থেকে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে কাতালানের ক্লাবটি। জাভির কোচিংয়ে খেলা বার্সার এ মরসুমে সাফল্যের অন্যতম বড় কারণ হল দলের তারকা স্ট্রাইকার রবার্ট লেয়নডস্কির (Robert Lewandowski) ফর্ম। ২১ ম্যাচে ১৫ গোল করা পোলিশ তারকা লেয়নডস্কি এই মুহূর্তে লা লিগার (La Liga) সর্বোচ্চ গোলদাতাও বটে।
লা লিগার পোস্ট
লেয়নডস্কির এই পরিসংখ্যানটিই লা লিগার অফিসিয়াল পেজের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। তবে চমকের বিষয় হল পোস্টটি ইংরাজি বা স্প্যানিশ নয়, লা লিগার তরফে পোস্টটি শেয়ার করা হয়েছে বাংলায়। পোস্টে লেখা, ‘Lewandowski as গোলন্দাজ’। ২০২১ সালে ‘গোলন্দাজ’ (Golondaaj) নামে এক ফুটবল নির্ভর বাংলা সিনেমা প্রকাশিত হয়। সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে ছিলেন সুপারস্টার দেব। জল্পনা অনুযায়ী মসর্বাধিকারীই প্রথম বাঙালি যিনি ফুটবল খেলা শুরু করেছিলেন। ১৮৮৭ সালে শোভাবাজার ক্লাবের প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। ইংরেজদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন নগেন্দ্রপ্রসাদ এবং ১৮৯২ সালে ইউরোপের সমস্ত ক্লাবকে হারিয়ে ফ্রেন্ডস কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় তাঁর শোভাবাজার ক্লাব। দেবকে সেই নগেন্দ্রপ্রসাদের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল।
View this post on Instagram
et=”_blank” rel=”noopener”>A post shared by LaLiga (@laliga)
সেই সিনেমার একটি পুরনো পোস্টারে দেবের বদলে লেয়নডস্কির মুখ পোস্টারে বসিয়েই তা লা লিগার তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়। এই কৌশল অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগেও টটেনহ্যাম হটস্পারের মতো বহু ক্লাব সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলায় একাধিক পোস্ট করেছে। মূলত, বাংলা তথা বাঙালিদের মধ্যে ক্লাব বা লিগের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তুলতেই এমন পোস্ট করা হয়ে থাকে। তবে এটি যে বাংলা সিনেমার জনপ্রিয়তার একটি বড় বিজ্ঞাপন, তা বলাই বাহুল্য।
বার্সেলোনার ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে (Camp Nou) ম্যাচ শুরুর মিনিট দশেকের মধ্যেই পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনা। রোনাল্ড আরাউজোর আত্মঘাতী গোলে অ্যাওয়ে ম্যাচে লিড পায় কার্লো আন্সেলোত্তির প্রশিক্ষণাধীন দল। খেলার শুরু থেকেই যেরকম দাপট দেখাতে শুরু করেছিল বার্সেলোনা, তাতে ম্যাচের গতির বিপরীতেই তাদের গোল খেয়ে যাওয়া। যারপর ফের খেলার দখল নিলেও খেলায় সমতা ফেরাতে তাদের অপেক্ষা করতে হয় প্রথমার্ধ শেষের বাঁশি বাজার আগে পর্যন্ত। খেলার ৪৫ মিনিটের মাথায় সের্গি রবার্তোর (Sergi Roberto) গোলে খেলায় সমতা ফেরায় বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় তাদের দাপট বজায় থাকলেও ম্যাচ জিতে নিতে তাদের অপেক্ষা করতে হয় একেবারে খেলার শেষ পর্যন্ত। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে দুরন্ত পাসিং ফুটবল থেকে ফ্রাঙ্ক কেসির গোলে ম্যাচ জিতে নেয় বার্সেলোনা।