জেল হেফাজতে অনুব্রত, অবশেষে তিহাড়ের বাসিন্দা হতে চলেছেন বীরভূমের কেষ্ট

দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের নির্দেশে জেল হেফাজতে পাঠানো হল বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতকে। মঙ্গলবার থেকে দিল্লির তিহাড় জেলের বাসিন্দা হতে চলেছেন তিনি। তাঁকে ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গরুপাচারকাণ্ডের তদন্তের গত ৭ মার্চ কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিলেন ইডির গোয়েন্দারা। তার পর থেকে ইডি হেফাজতেই ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এই মামলায় গ্রেফতারির পর তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি।

এদিন আদালতে অনুব্রতকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানায় ইডি। কিন্তু আদালত ১৩ দিনের জেল হেফাজত মঞ্জুর করে অনুব্রতকে ৩ মার্চ ফের আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছে। ওই দিন অনুব্রতর সঙ্গে হাজির করানো হবে তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও।

এদিন আদালতে আসানসোল থেকে নিয়ে আসা ৪টি ব্যাগ কোথায় রাখবেন তা জানতে চান অনুব্রতর আইনজীবী। কারণ ব্যাগ নিয়ে ঢোকা যাবে না তিহাড় জেলে। সেই ব্যাগগুলি রাখতে নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করে দেন বিচারক। নিজের ওষুধপত্র সঙ্গে রাখার আবেদন জানান অনুব্রত। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে আদালত জানিয়েছে, প্রেসক্রিপশনে প্রেসক্রিপশনে যে ওষুধগুলির উল্লেখ রয়েছে শুধুমাত্র সেগুলিই সঙ্গে রাখতে পারবেন অনুব্রত। চিকিৎসা করাতে পারবেন জেল হাসপাতালে।

একই সঙ্গে এদিন আদালতে অনুব্রত বলেন, তিনি বাংলা ছাড়া অন্য কোনও ভাষা বলতে পারেন না। বিচারক তখন অনুব্রতর জন্য জেলে দোভাষীর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দোভাষীর সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।

এদিন আদালতে প্রবেশের সময় সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি অনুব্রত মণ্ডল।