Mamata Banerjee: বীরভূমের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে মমতা, অনুব্রতকে পদ থেকে কি সরানো হবে?‌

‘বীরভূম জেলা আমি দেখব’—আগেই এই কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আজ, শুক্রবার বীরভূম জেলার সমস্ত নেতাকে নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে বৈঠকে বসছেন তৃণমূলনেত্রী। সেখানে সংগঠন এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের রণকৌশল নিয়ে বিশেষ বার্তা দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। কেষ্টহীন বীরভূমে গড়ে দিয়েছিলেন ৭ জনের কমিটি। অনুব্রত মণ্ডলকে তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়ায় তাঁকে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হতে পারে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। প্রথমে তিনি মুর্শিদাবাদ জেলা নিয়ে বৈঠক করেন। জগন্নাথধাম থেকে ঘুরে এসে এবার তিনি বীরভূম নিয়ে বৈঠকে বসছেন।

এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী যে তিনি নিজেই বাছবেন সেটা আগের বৈঠকে নেত্রী সবাইকে জানিয়ে দিয়েছেন। তাই জেলার সংগঠন নিয়ে একাধিক নির্দেশিকা দেন তিনি। প্রত্যেক মাসে জেলাগুলির সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এই জেলায় খাতায়–কলমে এখনও জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। প্রায় সাত মাস হতে চলল তিনি জেলেই আছেন। তাও এই জেলার জেলা সভাপতি বদল করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। বরং অনুব্রতর গ্রেফতারিকে প্রতিহিংসা বলে উল্লেখ করেছিলেন মমতা। গত ১৪ অগস্ট বেহালা পশ্চিমে দাঁড়িয়েই মমতার মন্তব্য ছিল, ‘কেষ্ট কী করেছে?’ নেতাজি ইনডোরের সভায় বলেছিলেন, ‘কেষ্ট যখন জেল থেকে বেরোবে তখন ওকে বীরের সংবর্ধনা দেওয়া হবে।’

এদিকে চলতি মাসের ৭ তারিখ অনুব্রত মণ্ডলকে নয়াদিল্লি নিয়ে যান ইডি অফিসাররা। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী এবং ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলা সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছেন দলনেত্রী। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাতে কোনও খামতি না থাকে তার বার্তা দিতেই এই বিশেষ বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে। গতকাল রাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরে আসেন কলকাতায়। কেষ্টহীন বীরভূমের স্ট্র‌্যাটেজি কী হবে?‌ সেটাই আলোচনার বিষয়বস্তু।

অন্যদিকে কালীঘাটে আজ বেলা ২টোর সময় বৈঠকে ডাকা হয়েছে। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহার জেলে বন্দি। এই পরিস্থিতিতে সংগঠন শক্তিশালী করতে তৃণমূলনেত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকে নজর রয়েছে সকলের। জেলায় সাংগঠনিক স্তরে কিছু রদবদল ঘটতে পারে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। আর সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপির ‘আঁতাত’ নিয়ে জেলাজুড়ে রাজনৈতিক কর্মসূচির নির্দেশ দিতে পারেন নেত্রী বলে সূত্রের খবর। এখন প্রশ্ন, অনুব্রত মণ্ডলকে কি জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হবে?‌ কয়েকদিন আগে শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘একজন মন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, জেলা সভাপতি তো ছোট ব্যাপার।’