recruitment scam: ‘শুধু সাইবার কাফেতে ৫০ টাকা দিয়েছিলাম’, বললেন ইডি-র তালিকায় নাম থাকা KMC কর্মী

স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক তথ্য সামনে আনছে ইডি। এরই মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে কলকাতা পুরসভার। যদিও মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যেই তাঁর দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে পড়া প্রণব মণ্ডল জানিয়েছেন, তিনি চাকরি পেয়েছেন নিয়ম মেনে। কাউকে একটা পয়সাও দেননি।

রাজ্যের অন্তত ষাটটি পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি ও চাকরি প্রার্থীদের তালিকা উদ্ধার হয়েছে। এবিপি আনন্দের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তার মধ্যে সিজার লিস্টের আট নম্বর পাতা ২৪ নম্বর পয়েন্টে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা লিখেছে, প্রণব মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি কলকাতা পুরসভা জঞ্জাল বিভাগে মজদুরের কাজের জন্য মেয়র-সহ একাধিক ব্যক্তিকে চিঠি দিয়েছেন।

তিনি বর্তমানে পুরসভার ছয় নম্বর বরোর মজদুর পদেই চাকরি করেন। কলকাতা পুরসভার নিয়োগ হয় মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশে। ২০২১ সালে কমিশনের ওয়েবসাইটে যে তালিকা প্রকাশিত হয় তাতে তফশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত আসনে জঞ্জাল বিভাগের মজদুর পদে প্রণব মণ্ডলের নাম সুপারিশ করা হয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগে ১০৫ নম্বরে তাঁর নাম রয়েছে।

সেই প্রণব মণ্ডল জানিয়েছেন, তিনি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বা অয়ন শীল কাউকেই চেনেন না। তাঁর দাবি, তিনি বৈধভাবে পুরসভায় চাকরি পেয়েছেন। বাড়ি মালদহে হলেও বর্তমানে বেহালার বাসিন্দা প্রণব বলেন,’আমি অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করেছিলাম। চিংড়িহাটায় এসে ফিজিকাল টেস্ট দিয়েছিলাম। কোথাও টাকা দিইনি। শুধু সাইবার ক্যাফেতে ৫০ টাকা দিতে হয়েছিল। অয়ন শীলকে চিনি না, শান্তনু-কুন্তলের নামও জানি না। লকডাউনের আগে চাকরি পাই। আগে হেড অফিসে চাকরি করতাম। তারপর লকডাউনে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল। আবার লকডাউনের পরে আবার জয়েন করি। পোস্টিং দিয়েছে বরো ১৬তে।’
(পড়তে পারেন। এসএসসির গ্রুপ সি ও নবম-দশমের শূন্যপদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের)

মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল) দেবব্রত মজুমদারও জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভায় নিয়োগ হয় মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে। দুটি পরীক্ষা। লিখিত ও ফিজিক্যাল টেস্ট। প্রণব মণ্ডলের নাম শুনে তিনি বলেন,’ওই নামে একজন আছে মালদায় বাড়ি।’