Kathakali gramam in Kerala: নাচের নামেই গ্রামের নামকরণ! ভারতের এই রাজ্যে গ্রামবাসীদের দাবি মেনে নিল সরকার

তিন দশক ধরে দীর্ঘ দাবির পর, কেরালার পাথানামথিট্টা জেলার পাম্বা নদীর তীরে স্বল্পপরিচিত গ্রাম আয়রুর (দক্ষিণ) নতুন নাম হবে কথাকলি গ্রামম (গ্রাম)। এই গ্রাম অধিবাসীরা দীর্ঘ দিন ধরে দাবি করে আসছেন, তাদের জীবন শাস্ত্রীয় নৃত্যের সঙ্গে জড়িত। গ্রামের পোস্ট অফিসের নামও আইরুর (দক্ষিণ) থেকে পাল্টে খুব তাড়াতাড়ি কথাকলি গ্রাম করা হবে। মঙ্গলবার গ্রামে পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং সার্ভে জেনারেলের অফিস থেকে একটি চিঠি আসে। তারপরেও খুশির বন্যা বয়ে যায় সারা গ্রামে। যেই সময় অনেকে পৌরাণিক চরিত্র এবং ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের নামে জেলা এবং শহরের নাম পরিবর্তন করার জন্য আদালতে দৌড়ান, তখন এই ঘটনাটি অন্যরকম দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। আক্ষরিক অর্থে শিল্পের জন্য ভালোবাসা থেকে তোলা দাবিই প্রাধান্য পেল শেষ পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: বোতল বোতল জল খেলেও ১৪ মাস প্রস্রাব হত না! কী এই রোগ? কারা আক্রান্ত হতে পারেন

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে পানীয় জল ‘সুরক্ষিত’ নয় একদম, জল দিবসের পরেই কেন এ কথা রাষ্ট্রসংঘের

কথাকলি গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাপতি আম্বিলি প্রভাকরণ নায়ার হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘আমরা খুশি যে আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি অবশেষে পূরণ হয়েছে। এটি গ্রাম এবং এর সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি। আমাদের বলা হয়, এই প্রথম একটি গ্রাম একটি শিল্পধারার নাম পাচ্ছে।’ গ্রামবাসীরা এই দিন বলেন, তাদের অডিসি শুরু হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। তখনই তারা শিল্পের এই বিশেষ ধারার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রক্ষা করার জন্য পাঠানমথিত্তা কথাকলি ক্লাব শুরু করেন। ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ভি আর বিমল রাজ বলেন, ‘আমাদের গ্রামে এক সময় অনেক কথাকলি আচার্য ছিলেন। তাঁরা গুরুকুল পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সব ঐতিহ্য শেষ পর্যন্ত ফিকে হতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত শিল্পপ্রেমীরা শিল্পের গৌরব ধরে রাখতে ১৯৯৫ সালে এই ক্লাব গঠন করে।’

আরও পড়ুন: ২০২৫-এর পর দেশে আর টিবি রোগী থাকবে না! সুস্থ ভবিষ্যতের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

আরও পড়ুন: টিবির জীবাণু শরীরেই রয়েছে, অথচ টের পাচ্ছেন না! কী কারণে এমনটা হয় জানেন

২০১০ সালে আয়রুর পঞ্চায়েত সর্বসম্মতিক্রমে নাম পরিবর্তন করার জন্য একটি প্রস্তাব পাশ করেছিল। সেই প্রস্তাবকে রাজ্য সরকার ২০১৮ সালে অনুমোদন দেন। তবে চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হল। ভি আর বিমল রাজের কথায়, ‘গত ১৭ বছর ধরে আমরা গ্রামে একটি কথাকলি উৎসব পরিচালনা করছি। সপ্তাহব্যাপী উৎসবে ১০ হাজার শিশুশিল্পী থেকে নৃত্যগুরু এবং শিল্পপ্রেমীরা অংশগ্রহণ করেন। আমরা স্কুলেও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। এখন একটি কথাকলি জাদুঘর স্থাপনের পরিকল্পনাও চলছে।’ একই সঙ্গে রাজ জানান, কথাকলির দুটি ঐতিহ্য রয়েছে, উত্তর এবং দক্ষিণ। তাদের গ্রাম দক্ষিণ স্কুলের জন্য বিখ্যাত ছিল। অবশেষে গ্রামের নাম পরিবর্তনের স্বীকৃতি পাওয়ায় বেশ উচ্ছ্বসিত গ্রামবাসীরা। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup