Rail Line Incident: আরপিএফের হাতে নিগৃহীত ব্যক্তি, অভিমানে রেললাইনের ফিসপ্লেট খুলে দিলেন

প্রতিশোধ নাকি অভিমানের প্রতিক্রিয়া?‌ এই প্রশ্নই এখন চর্চিত হচ্ছে দিঘা–তমলুক রেললাইনের ধারে। কারণ রেল পুলিশের (আরপিএফ) বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার এবং মারধরের জেরে বদলা নিতে রেললাইনের নাট–বল্টু খুলে দিল এক ব্যক্তি বলে অভিযোগ। তাঁর গায়ে হাত দেওয়া হয়েছিল বলে একরাশ অভিমান তৈরি হয়েছিল। তাই একাধিক ফিসপ্লেটের নাট–বল্টু খুলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। দিঘা দেবেন দুলাল জগবন্ধু হাইস্কুলের অদূরের এই ঘটনা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।

ঠিক কী ঘটেছে দিঘায়?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ শনিবার কয়েকজন প্রাতঃভ্রমণকারী দিঘা–তমলুক রেললাইনের পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন তাঁরা দেখেন টিডি ৮৭/৯টিডি, টিডিডি ৮৭/১০ জায়গায় রেললাইনের ফিসপ্লেটের নাট–বল্টু খোলা রয়েছে। দিঘা দেবেন দুলাল জগবন্ধু হাইস্কুলের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এক যুবক নাটবল্টু খুলছেন দেখতে পান তাঁরা। তখন স্থানীয় বাসিন্দারা হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁকে। যদিও পরে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। যা নিয়ে রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।

কেন এমন কাজ করলেন ওই ব্যক্তি? প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি যখন স্টেশনে ঢুকেছিলেন তখন আরপিএফ নাকি তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। তাই অভিমানে রেললাইনের ফিশপ্লেট খুলে দেন তিনি। এদিকে রেললাইনে ফিশপ্লেট খোলা অবস্থায় একটি লোকাল ট্রেনও সেখান দিয়ে যায়। যদিও বড় কোনও বিপদ ঘটেনি। তবে অন্য কোনও ট্রেন যাওয়ার আগেই সকলের নজরে পড়ায় রক্ষা করা গিয়েছে বিপদ। স্থানীয় বাসিন্দারা রেলের অফিসে খবর দেন। তারা এসে ফিশপ্লেট সারাই করার পরই রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়।

হঠাৎ কেন এমন ঘটনা ঘটল? সূত্রের খবর, অন্যদিকে এই কাণ্ড ঘটানোর আগে রেলস্টেশনের আরপিএফদের সঙ্গে বচসা হয় ওই ব্যক্তির। এই বচসা চলাকালীন আরপিএফ কর্মীরা তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তখন কিছু না বলে সরে গেলেও অভিমান এবং প্রতিশোধের জেরে ফিরে আসেন রেললাইনে। আর এমন কাণ্ড করে বসেন অভিযুক্ত। তড়িঘড়ি দিঘা রেলস্টেশনে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে এই ঘটনা সম্পর্কে এখন সবাই চর্চা শুরু করেছেন। সত্যি যদি কিছু ঘটে যেত তাহলে কত প্রাণ হারিয়ে যেত ট্রেন দুর্ঘটনায়।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup