Biman Basu: চিরকুটে চাকরি নিয়ে কিছুই জানেন না বিমান বসু, ‘আসুক সিবিআই, তৈরি আছি’

চিরকুটে চাকরি নিয়ে গোটা বাংলা জুড়ে নানা চর্চা। বাম আমলে চিরকুটে চাকরি হত বলে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার তা নিয়েই একাধিক প্রাক্তন সিপিএম নেতাও মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তবে তাঁদের দাবি বাম জমানায় টাকা দিয়ে চাকরির প্রথা সেভাবে হত না। যা হত সবটাই স্বজনপোষণ। কিন্তু এনিয়ে কী বলছেন সিপিএম নেতা বিমান বসু?

একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে তিনি মুখ খুলেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন,যাঁরা বামেদের আমলে দুর্নীতির কথা বলছেন, তাঁদের আমি অনুরোধ করব আপনারা মামলা ঠুকুন। মামলা ঠুকে ইডি, সিবিআই নিয়ে আসুন। প্রস্তুত রয়েছি। যিনি বললেন তিনি বিমান বসু। কিছুদিন আগেও প্রবল প্রতিপক্ষ বিমান বসু সম্পর্কে প্রশংসাসূচক কথাই বলেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে বিমান বসু অবশ্য তুলে আনলেন আরএসএস প্রসঙ্গ।

তবে এর সঙ্গেই বিমান বসু ওই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এখন আমি শুনতে পাই অনেকে বলছেন, দাদা আপনাদের সময় ভালো ছিল। এখন অনেক মুশকিল রয়েছি। এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, আরএসএসের পরামর্শে তৃণমূলের নববোধোদয় হয়েছে। এখন যে টাকার পাহাড় মানুষ দেখতে পেয়েছেন এর আগে এত টাকা মানুষ দেখতে পেয়েছেন কি না সন্দেহ।

কিন্তু চিরকুটে চাকরি নিয়ে কী বললেন বিমান বসু?

একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন,চিরকুট প্রথার কথা অতীতে কোনওদিন শুনিনি। চিরকুট প্রথার কথা কোনও এক সময় রাজ্যের তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন। তবে ১৯৭২ সালে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় মুখ্য়মন্ত্রী থাকাকালীন রাইটার্স বিল্ডিংয়ে বসার জায়গা পেতে চিরকুট দিয়ে মন্ত্রীকে অনুরোধ করা হত। 

তবে কি কিছুটা রসিকতা করেই জবাব দিলেন বিমান বসু?

দীর্ঘদিনের বাম নেতা। এই বাংলার বহু রাজনৈতিক উত্থান পতনের সাক্ষী। এখনও বিপক্ষ দলের নেতারাও তাঁকে দেখলে সৌজন্যের জন্য হলেও এগিয়ে আসেন। সেই বাম নেতা কার্যত উড়িয়ে দিলেন চিরকুটে চাকরির প্রসঙ্গ।

তবে শরিক দল ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন নেতা উদয়ন গুহ অবশ্য জানিয়েছেন, আমি আবারও বলছি বাম আমলে কোটা সিস্টেম ছিল। সেই সিস্টেমে বাম আমলে চাকরি হয়েছে। ফরোয়ার্ড ব্লক তার ভাগ পেয়েছে। কোচবিহারের জেলা সম্পাদক হিসাবে বাবাকেও সেই লিস্ট এনডোর্স করতে হয়েছে। এরপর আমি যখন জেলা সম্পাদক ছিলাম তখন আমাকেও এনডোর্স করতে হয়েছে। জেনেবুঝে করেছি। ভালো প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও দলের স্বার্থে এটা করতে হয়েছে। তাদের চাকরি দিতে হয়েছে।