Lizard in Mid Day Meal: টিকটিকি থাকা মিড ডে মিল খেয়ে অসুস্থ ৩৫, হেড স্যারের বিরুদ্ধে উঠল গুরুতর অভিযোগ

মিড ডে মিলের খাবার খেয়ে উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকের তেহট্ট জুনিয়র বেসিক স্কুলের ৩৫ জন পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার। অভিযোগ, খেতে বসে পড়ুয়ারা দেখতে পান যে ডালের ওপর একটি টিকটিকি ভাসছে। হেড স্যারের কাছে তা নিয়ে অভিযোগ করেন পড়ুয়ারা। তবে স্যার নাকি তাদের টিকটিকি ফেলে সেই ডালই খেয়ে নিতে বলেন। স্যারের কথামতো সেই ডালই খায় পড়ুয়ারা। এর কিছুক্ষণ পর থেকেই একের পর এক অসুস্থ হতে থাকে পড়ুয়ারা। কোনও কোনও পড়ুয়া বমি কারতে থাকে। কেউ আবার পেটের যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে। পরে অসুস্থ পড়ুয়াদের বৃন্দাবনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। (আরও পড়ুন: চৈত্রে বর্ষার আমেজ বঙ্গে, টানা ঝড়বৃষ্টি চলবে বহু জায়গায়, কোন জেলা ভিজবে কবে?)

অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের মিড ডে মিলের রান্না করার দায়িত্বে থাকা রাঁধুনি চোখে ঠিক ভাবে দেখতে পান না। কানেও নাকি খুব একটা ভালো শোনেন না তিনি। এই আবহে রাঁধুনির গলদে খাবারে পোকা পড়তেই পারে। তবে স্কুলের হেড স্যারকে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কীভাবে টিকটিকি পড়ে থাকা খাবার পড়ুয়াদের খেতে বলা হল, তা নিয়ে হতবাক অভিভাবকরা। ঘটনা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে প্রদীপ মালি নামক এক পড়ুয়া বলে, ‘ডাল, আলুর তরকারি আর ভাত রান্না হয়েছিল। খেতে খেতে দেখি ডালে টিকটিকি ভাসছে। দেখা মাত্রই হেড স্যারকে বলি। স্যার বলে ফেলে দিয়ে খেয়ে নিতে। তারপর খাওয়া-দাওয়া সেরে বাড়ি ফেরার পর বমি হয়েছিল আমার।’

আরও পড়ুন: উঠেছে অনশন, নেমে এসেছে শাস্তির খাড়া! এবার কোন পথে এগোবে ডিএ আন্দোলন?

এদিকে গোলাপী হান্দি নামক এক পড়ুয়ার অভিভাবক সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, স্কুল থেকে পড়ুয়ারা যখন ফিরছিল, তখন তিনি তাদের কথা বলতে শোনেন। পড়ুয়ারা ‘টিকটিকির ঝোল’ নিয়ে বলাবলি করছিল। সেই সময় পড়ুয়াদের গোলাপী প্রশ্ন করে জানতে পারেন, ডালে টিকটিকি পড়েছিল। এই নিয়ে স্কুলে গিয়ে অভিযোগ করলে নাকি তাঁকে পালটা প্রশ্ন শুনতে হয়, ‘খাবার খেয়ে কি কেউ মারা গিয়েছে?’ অভিযোগ, বারবার প্রধান শিক্ষককে রাঁধুনি বদলের কথা বলেছেন অভিভাবকরা। তবে তাতে কান দেননি প্রধান শিক্ষক।