Udayan Guha: ‘সুযোগ পেলে পার্টির ছেলেদের এখনও চাকরি দিই’, মদন, সাবিনার পর এবার উদয়ন

‘কোটায় চাকরি দেওয়া’ দেওয়া নিয়ে প্রয়াত বাবা কমল গুহকে টেনেছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। তা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে বিতর্ক তুঙ্গে। রবিবারও নিজে মতে অনড় থেকে জানিয়েছেন দিলেন, সুযোগ পেলে তাঁর দলের ছেলেদের এখনও চাকরি দেন তিনি।

এদিন সংবাদমাধ্যমের কাছে তৃণমূল নেতা বলেন, ‘বাম আমলে কোটা সিস্টেমে চাকরি হত। ফরওয়ার্ড ব্লক তার ভাগ পেয়েছে। কোচবিহারের জেলা সম্পাদক হিসেবে বাবাকেও সেই লিস্ট এনডোর্স (কার্যকরী) করতে হয়েছে। বাবার মৃত্যুর পর জেলা সম্পাদক (ফরওয়ার্ড ব্লকের) থাকাকালীন আমিও সেই লিস্ট এনডোর্স করেছি। যোগ্যরা বঞ্চিত হচ্ছে জেনেই দলের স্বার্থে দলীয় কর্মীদের চাকরি দিতে হয়েছে।’ 

তিনি এখন তৃণমূল নেতা, মন্ত্রীও। তবে সেই ‘পদ্ধতি’ যে এখনও অব্যাহত আছে, তা জানিয়ে উদয়ন বলেন, ‘সুযোগ পেলে পার্টির ছেলেদের এখনও আমরা চাকরি দিই। আমিও মন্ত্রী হিসেবে ৩ জনকে অ্যাটেন্ডেন্ট হিসেবে নিয়োগ করেছি।’ 

(পড়তে পারেন। চাকরির নামে ‘টাকা খেয়েছেন’ রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক,অয়নের এজেন্ট?)

এর আগে কার্যত একই মন্তব্য করেছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। ফেসবুক লাইভে তিনি এবিপি আনন্দকে বলেন, ‘৩৪ বছর ধরে সিপিএম একতরফা যা খুশি তাই করেছে। দিল্লিতে বিজেপি এখন একতরফা করে যাচ্ছে। আর তৃণমূলের কর্মীরা চাকরি পাবে না, তা তো হতে পারে না। আমি সুযোগ পেলে আবার তৃণমূল কর্মীদের চাকরি দেব।’

তাঁর ঠিক পরই মালদহের মোথাবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইসামিন, যিনি সদ্য উত্তর দিনাজপুর নজরদারির দায়িত্ব পেয়েছেন, তিনি বলেন, ‘তাঁদের চাকরি হবে, যাঁরা সকাল সন্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ বলছেন।’

কেন দলীয় কর্মীদের চাকরি পাওয়া নিয়ে তৃণমূল নেতাদের এক সুর? রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, দলীয় কর্মীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়াটা রাজনীতির একটা ‘দস্তুর’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনও দলই এটা ভেঙে বেরোতে পারে না। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে হাইকোর্ট যে ভাবে নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিচ্ছে, তাতে নীচুতলার কর্মীদের মনে শঙ্কা তৈরি হতে পারে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই শঙ্কা কাটাতেই কি এই বার্তা দিচ্ছেন শাসকদলের নেতারা?

উদয়নের ছেলে সায়ন্তন গুহ বলেছেন, ‘অনেক গরিব মানুষকে দাদু সাহায্য করেছেন। প্রয়োজন মনে করলে চাকরি দিয়েও তাঁদের সাহায্য করেছেন।’ এরপর উদয়ন-পুত্র রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সুরে বামেদের নিশানা করে বলেন, ‘নেতারা বুকে হাত রেখে বলুক, বাম আমলে কোটা সিস্টেমে চাকরি হত না। বাম আমলে হোলটাইমারদের অগ্রাধিকার দেওয়া হত না, পারলে বলুক’।