ব্যাঙ্ক চাইলেই কোনও অ্যাকাউন্ট Fraud বলতে পারবে না, রায় সুপ্রিম কোর্টের

ব্যাঙ্ক হঠাত্ করে কোনও অ্যাকাউন্টতে ‘জালিয়াতি’ হিসাবে তালিকাভুক্ত করতে পারবে না। তার আগে ঋণগ্রহীতাকে নিজের হয়ে যুক্তি দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। সোমবার এমনটাই বলল সুপ্রিম কোর্ট। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ২০১৬ সালের এক সার্কুলারে ব্যাঙ্কগুলিকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিকে ‘জালিয়াতি’ হিসাবে তালিকাভুক্ত করার অনুমোদন দেওয়া হয়। সেই নীতির বিষয়েই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করল সর্বোচ্চ আদালত।

২০২০ সালে তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, শুনানি ছাড়াই ব্যাঙ্ক একতরফাভাবে কোনও জালিয়াতির ঘোষণা করতে পারে না। এই বিশয়ে সুপ্রিম কোর্ট আরবিআইয়ের মাস্টার সার্কুলারে বদল এনেছে। আরও পড়ুন: Fixed Deposit Rate: আরও বাড়তে পারে FD-র সুদের হার! ইঙ্গিত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের

আদালত তার রায়ে বলেছে, জালিয়াতির ঘোষণার ফলে শাস্তিমূলক পরিণতি হতে পারে। প্রাতিষ্ঠানিক টাকা নিজে ব্যবহার করা থেকে শুরু করে কালো টাকা, নানা কারণেই জালিয়াতি হতে পারে। তবে এই জালিয়াতির ঘোষণার পিছনে কারণগুলি দেখাতে হবে। ব্যাঙ্ককে নির্বিচারে ক্ষমতা প্রয়োগ করা থেকে বিরত রাখা হবে।

এতদিন যদিও আরবিআই এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI) জালিয়াতির এই নীতি বদলের বিপক্ষেই ছিল। তাঁদের দাবি ছিল, জালিয়াতির ঘটনা একেবারে শুরুতেই ধরে ফেলার জন্য ব্যাঙ্কের হাতে এই ক্ষমতাটা থাকা প্রয়োজন ছিল।

RBI ২০১৬ সালে একটি মাস্টার সার্কুলার জারি করেছিল। তাতে ব্যাঙ্কগুলিকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টগুলিকে ‘জালিয়াতি’ বা ফ্রড হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া হয়। ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৯-এর 35 A ধারার অধীনে ‘জালিয়াতি – তালিকাভুক্তি এবং রিপোর্টিং’ শীর্ষক মাস্টার সার্কুলার জারি করা হয়েছিল। এরপর ৩ জুলাই, ২০১৭-এ তার একটি আপডেট করা হয়েছিল।

তেলেঙ্গানা হাইকোর্টে এই সার্কুলারকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। ২০২০ সালে উচ্চ আদালত জানায়, ঋণদাতাদের অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রড’ হিসাবে উল্লেখ করার আগে শুনানির সুযোগ দিতে হবে।

এসবিআই এবং আরবিআই এরপর পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তারা দাবি করে, উক্ত সার্কুলার অনুসারে জালিয়াতির ঘোষণা করাটা ব্যাঙ্কিং নীতির পক্ষে।

এদিকে মামলাকারী ঋণগ্রহীতারা যুক্তি দেন, এই সার্কুলার ন্যায়বিচারের সাধারণ নীতিগুলিরই লঙ্ঘন করছে। তারা দাবি করে, ‘জালিয়াতির জন্য নাম উঠে গেলে এরপর নতুন করে কোথাও ঋণ নিতে গেলে সমস্যা হয়।’

এদিকে, ঋণদাতাদের যুক্তি ছিল, সার্কুলারটির মূল লক্ষ্য হল, সময় থাকতেই জালিয়াতি ধরে ফেলা। আরও পড়ুন: Bank Holidays in April 2023: এপ্রিলে সবমিলিয়ে ১৫দিন বন্ধ ব্যাঙ্ক! দেখে নিন এলাকাভিত্তিক ক্যালেন্ডার

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup