Acid attack in Bihar: ঋণ নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদের জেরে অ্যাসিড হামলা, মহিলা ও শিশু-সহ আহত ৯

অর্থ নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদ। তার জেরে একই পরিবারের ৯ সদস্যের ওপর অ্যাসিড হামলার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সুপল জেলায়। এই ঘটনায় ৩ শিশু ও ২ মহিলা সহ ৯ জন আহত হয়েছে। আহতদের সকলকে ত্রিবেণীগঞ্জের মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের সেখান থেকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি জাদিয়া থানার অন্তর্গত রঘুনাথপুর গ্রামে ঘটেছে। মূলত বিবাদ করুণ কুমারের সঙ্গে তাঁর খুড়তুতো ভাই কার্তিক যাদবের। দুজনেই তামিলনাড়ুতে শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। বছর খানেক আগে করুণের কাছ থেকে ৯০০০ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন কার্তিক। কিন্তু সেই টাকা তিনি সময়মতো পরিশোধ করতে পারেননি। এই বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে দুই পরিবারের সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সেই সময় কার্তিকের ছোট ভাই প্রভাস কুমার একটি অ্যাসিডের বোতল বের করে করুণের উপর ছোঁড়ে। এরপর উভয় পক্ষ একে অপরকে অ্যাসিড দিয়ে হামলা চালায়। আহতরা হলেন মহারানী দেবী (২৮), গৌরব কুমার (৬), প্রিয়ম কুমারী (৪), সজন কুমারী (১০), সুনিতা দেবী (২৫), তারানন্দ যাদব (৬৫), করুণ, অরুণ কুমার (২৮) এবং সুলেখা দেবী (৩৫)। ঘটনায় ৭ জনকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এসএইচও রাজেশ চৌধুরী জানিয়েছেন, অভিযুক্ত করুণ ও কার্তিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রভাস ঘটনার পর থেকে পলাতক।

তিনি জানান, করুণ সামান্য আঘাত পেয়েছেন। অন্যরা গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। আরও ভালো চিকিৎসার জন্য তাদের দরভাঙ্গার ডিএমসি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় থানায় এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পাওয়ার পর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কার্তিক পুলিশকে জানিয়েছেন, করুণ তাঁর কাছ থেকে ২০১৯ সালে ৯০০০ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। মাসখানেকের মধ্যেই সেই টাকা তিনি পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু, ৪ বছর কেটে যাওয়ার পরেও সেই টাকা তিনি ফেরাননি। তাই তাদের মধ্যে বহুবার ঝামেলা হয়েছে। এদিন তাদের মধ্যে বিবাদ চরম আকার ধারণ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এই ঘটনায় অন্যান্য অভিযুক্তের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তারা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup