রামনবমীর আগেই শাহের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বাংলার BJP নেতা, ফাঁস করলেন অভিষেক

হাওড়ার হিংসা নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের দাবি, এটা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। শ্যামবাজার থেকে একজন বিজেপি নেতা বলছিলেন কাল টিভিতে চোখ রাখবেন। কেন? ঠিক আগের দিন ওই নেতা হোম মিনিস্টারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন আর তারপর তিনি শ্যামবাজারে আসেন। তির ছুঁড়লেন অভিষেক।

তবে সেই বিজেপি নেতার নাম উল্লেখ করেননি অভিষেক। এখানেই প্রশ্ন উঠছে কে এই বিজেপি নেতা? কাকে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়?

অভিষেক জানিয়েছেন, ধর্মের নামে গুণ্ডামি, হিংসা করলে তাকে কখনও ধর্মপ্রাণ বলা যায় না। এরা বাংলাটাকে জল্লাদের উল্লাস মঞ্চে পরিণত করেছে। …এর সঙ্গেই তিনি বলেন ক্রোনোলজিটা বুঝুন। বিজেপির নেতা দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন। তারপর বাংলার শ্যামবাজার মোড় থেকে রামনবমী পালন করা নিয়ে বড় বড় কথা বলেন। তারপরই শোভাযাত্রায় হিংসা ছড়ানো হল।

এদিকে রামনবমীকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার মিছিল বেরিয়েছিল হাওড়ার কাজিপাড়ায়। সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে অশান্তির দায় কাদের এনিয়ে চাপানউতোর তুঙ্গে। অভিষেক একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিয়ো ক্লিপিংস দেখিয়েছেন। সেখানে তিনি একটি ভিডিয়োতে দেখিয়েছেন, একজনের হাতে পিস্তল রয়েছে। তাঁর দাবি, পিস্তল নিয়ে রামনবমীর মিছিলে। রামকে স্মরণ করার একোন প্রথা? প্রশ্ন অভিষেকের। এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, তদন্ত যাতে ঠিকভাবে না হয়, প্রকৃত দোষীরা যাতে শাস্তি না পায় সেকারণে ইচ্ছা করে কোর্টে গিয়ে সিবিআই, এনআইএ তদন্তের দাবি করছে।

শুভেন্দু অধিকারীর পালটা দাবি, আমরা এনআইএ তদন্তের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছি। আমরা আশা করব রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে এই তদন্ত হবে। ভাইপো একটি ছবি দেখিয়েছে, আমরা বলছি বন্দুক যদি থাকে কোনও সম্প্রদায় দেখার দরকার নেই। গ্রেফতার করুন। কিন্তু যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।

এদিকে সূত্রের খবর, হাওড়ার হিংসা নিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ খোঁজ নেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতির কাছেও শাহের ফোন আসে বলে খবর। তবে অভিষেক এদিন কার্যত বার বার বলার চেষ্টা করেন এই হিংসার ঘটনা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। এমনকী যথাযথ নিয়ম মেনে অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি। সব মিলিয়ে চাপানউতোর একেবারে তুঙ্গে উঠেছে।

তবে এসবের মধ্য়েই সাধারণ মানুষের একটাই দাবি, শান্তি ফিরুক এলাকায়।