পদ খারিজ হওয়া আইনপ্রণেতাদের ফের ভোটে লড়া নিয়ে কেন্দ্রের কোর্টে বল ঠেলল কমিশন

পদ থেকে খারিজ হওয়া আইনপ্রণেতারা যাতে এই টার্মের মধ্য়েই ফের উপনির্বাচনে লড়তে না পারেন সেব্যাপারে আবেদন করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কংগ্রেসের এক নেত্রী এনিয়ে আবেদন করেছিলেন। তবে এনিয়ে দেশের নির্বাচন কমিশন গোটা বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের দিকে বল ঠেলে দিয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন এক্ষেত্রে জানিয়ে দিয়েছে এখানে কমিশনের কোনও ভূমিকা নেই। কেন্দ্রই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। তারা এক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ।
এনিয়ে শীর্ষ আদালতে তারা একটি হলফনামা জমা দিয়েছে। সেখানে কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কংগ্রেস নেত্রী জয়া ঠাকুর যে আবেদন করেছেন সেটা নিষ্পত্তির জন্য কেন্দ্রই একমাত্র সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এনিয়ে কমিশনের করার কিছু নেই। গোটা বিষয়টি তারা কেন্দ্রের দিকে ঠেলে দিয়েছেন।

এদিকে তাঁর আবেদনে কংগ্রেস নেত্রী জয়া ঠাকুর জানিয়েছেন, ১৯১(১)(ই) ধারার প্রভাব এমপি ও এমএলএদের উপর পড়ে। দশম সিডিউল মেনে তাদের পদ থেকে খারিজ করা যেতে পারে।

তিনি জানিয়েছিলেন দশম তফশিল মেনে কাউকে পদ থেকে খারিজ করা হলে তিনি তাঁর মেয়াদ কালের মধ্যে ফের ওই আসন থেকে ভোটে লড়তে পারছেন না। তিনি জানিয়েছিলেন, একবার ওই জনপ্রতিনিধিকে দশম তফশিল মেনে তাঁকে পদ থেকে খারিজ করা হলে সেই আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়।

এদিকে তিনি যদি এরপর মনোনয়ন জমা করতে যান তবে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুসারে তার মনোনয়ন বাতিল হয়ে যেতে পারে। এরপরই তিনি জানান এই ঘটনায় ওই এলাকায় সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। গণতন্ত্রে এটা উদ্বেগের ঘটনা।