শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে গাড়িতেই পরপর গুলি, মৃত্যু কয়লা ব্যবসায়ীর

শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে গুলিবৃষ্টি। পরপর গুলি চালানো হয় এসইউভিকে লক্ষ্য করে । গাড়ির ভেতরে থাকা দুজনের গুলি লাগে। একজনের মৃত্যু হয়েছে। অপরজনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে।

কলকাতার দিকে যে গাড়িগুলি আসে তার অধিকাংশই শক্তিগড়ে দাঁড়ায়। মূলত খাওয়াদাওয়ার জন্য তারা এখানে দাঁড়ায়। আর সেই জনবহুল, জমজমাট জায়গাকেই টার্গেট করল দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন ভর সন্ধ্যায় আচমকাই একটি সাদা রঙের গাড়ি এসে দাঁড়ায়। গাড়িতে দুজন বসে ছিলেন। এরপর ওই ড্রাইভারের পাশে অপর একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। এরপরই শুরু হয় গুলিবৃষ্টি।

ড্রাইভারের বাঁদিকে বসেছিলেন রাজীব ঝাঁ বা রাজু ঝাঁ। তিনি পশ্চিম বর্ধমানে ব্যবসায়ী। বিগত দিনে বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল তার। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী।অবৈধ কয়লা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। বিগতদিনে একাধিক অভিযোগও ছিল তার বিরুদ্ধে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে তার বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানে। এদিন কলকাতার দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তার উপর গুলি চালানো হয়। তার হোটেল সহ একাধিক ব্যবসায়ী রয়েছে।

পুলিশ এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। এলাকায় ব্যপক তল্লাশি চলছে। কারা রয়েছে এর পেছনে? ব্যবসায়িক শত্রুতা নাকি এর পেছনে অন্য় কোনও কারণ? সবটাই দেখছে পুলিশ। চলছে নাকা তল্লাশি।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারনা দুষ্কৃতীরা ব্যবসায়ীর পরিচিত। গাড়িটি যে ল্যাংচার দোকানের সামনে দাঁড়াবে তা তারা জানত। সেকারণেই তারা ওই জায়গাটিকে টার্গেট করেছিল। আগে থেকেই কি তারা ওখানে অপেক্ষা করছিল নাকি অন্য গাড়িতে তারা এসেছিল?

এদিকে ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বাসিন্দারা বলেন, অত্যন্ত আতঙ্কে রয়েছি। একেবারে সামনে থেকে এসে গুলি চালিয়েছে। এভাবে জনবহুল জায়গায় গুলি চালানোর ঘটনা একেবারেই মানা যায় না।

পাঁচ থেকে ৬ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। ড্রাইভারের বাঁদিকে কাঁচ ভেদ করে গুলি ভেতরে ঢোকা যায়। রাজু ঝাঁ লুটিয়ে পড়েন গাড়ির মধ্যে। ২০১৯ সালে তিনি বিজেপির দিকে ঝুঁকেছিলেন। তার বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তও হয়েছিল। এলাকার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী বলে পরিচিত। তবে বর্তমানে তিনি কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। তাকেই গুলি করা হল এদিন।