Narendra Modi to Armed Forces: ‘নয়া হুমকির জন্য প্রস্তুত থাকুন’, সামরিক বাহিনীকে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা মোদীর

বিগত কয়েক বছরে পাকিস্তানের পাশাপাশি চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে ভারতের। উত্তরভারতে পশ্চিম দিক থেকে যেখানে পাকিস্তানি জঙ্গি অনুপ্রবেশ ও হামলা জারি থেকেছে, সেখানে পূর্বে লাদাখ সীমান্তে চিনা দখলদারির প্রচেষ্টাও জারি থেকেছে। এমনকি উত্তরপূর্বের অরুণাচলেও ভারত-চিন সংঘাতের আবহ রয়েছে। বিগত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও চিনা সেনা। এই আবহে সামরিক বাহিনীর যুদ্ধ প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী সামরিক বাহিনীকে ‘নয়া হুমকির’ জন্য প্রস্তুত থাকতে বললেন। (আরও পড়ুন: এপ্রিলে টানা দু’দিনের প্রশাসনিক ধর্মঘট করবেন ডিএ আন্দোলনকারীরা, কবে হবে এই বনধ?)

গত শনিবার ভোপালে সামরিক বাহিনীর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ভোপালের কম্বাইনড কমান্ডার’স কনফারেন্সের শেষ দিনে বক্তব্যও রাখেন মোদী। সেই সম্মেলনে সশস্ত্র বাহিনীকে নতুন এবং উদীয়মান হুমকির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের সামরিক বাহিনীকে লড়াইয়ের জন্য আরও শক্তিশালী করার জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবারই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দেশীয় সামরিক হার্ডওয়্যারের জন্য ৩২ হাজার কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করে। (আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের ডিএ বঞ্চনার কথা কেন্দ্রকে জানাতে দিল্লি যাচ্ছেন ১২০০ সরকারি কর্মী)

আরও পড়ুন: তিন মাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেশের বেকারত্বের হার, মার্চে চাকরি হারান ২৩ লাখ: CMIE

এদিকে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সামরিক বাহিনীর থিয়েটারাইজেশনের কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর আধুনিকীকরণের ওপরও জোর দেন মোদী। সম্মেলন শেষে এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, দেশের সেনা যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সক্ষম। এর জন্য যে কোনও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে তাদের। জানা গিয়েছে যে চিনের সাথে সীমান্তে ভারতের নিরাপত্তাজনিত চ্যালেঞ্জ এবং পাক সীমান্তে সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে বিশদে আলোচনা হয় ভোপালের সম্মেলনে। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান এই বছরের সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। প্রসঙ্গত, এবছরের কমান্ডার’স সম্মেলনের বিশেষ গুরুত্ব ছিল। কারণ থিয়েটারাইজেশনের বিষয়ে তিনটি বাহিনীর ফিল্ড ইউনিটগুলির থেকে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল।