রোজায় পানিশূন্যতা হবে না ৬ বিষয় মানলে

তীব্র গরমে রোজা রাখতে হচ্ছে এবার। সারাদিন পানি না খাওয়ার কারণে এই সময় পানিশূন্যতায় ভোগার আশংকা থাকে বেশি। শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়লে জিহ্বা শুকিয়ে যায়। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া, হৃদস্পন্দন কমে যাওয়া, প্রেসার কমে যাওয়া কিংবা দুর্বলতার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। রোজার সুস্থ ও পানিশূন্যতামুক্ত থাকতে চাইলে কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি। পরামর্শ দিচ্ছেন বাংলাদেশ মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল ও ইবনেসিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের ক্লিনিক্যাল ডায়াটিশিয়ান ও নিউট্রিশন কনসালটেন্ট ফাতেমা সিদ্দিকী ছন্দা। 

 

১। ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত সময়ে দুই থেকে আড়াই লিটার পানি খেতে হবে অবশ্যই। প্রতিবেলা খাওয়ার ১০ মিনিট আগে ও কিছুক্ষণ পরে ১ গ্লাস করে পানি খেতে হবে। খাওয়ার মাঝখানে পানি খাবেন না কিংবা একবারে অতিরিক্ত পরিমাণ পানি খেয়ে ফেলবেন না।

২। রোজায় সময় খাদ্য তালিকায় এমন খাবার রাখবেন যেগুলো সহজে হজম হয়। ভাজাপোড়া কিংবা রিচ ফুড শরীরকে আরও পানিশূন্য করে তোলে।

৩। ইফতার মেন্যুতে পানিজাতীয় খাবার ও ফল রাখুন। বেশি করে খেতে পারেন শসা ও তরমুজ। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। সঙ্গে থাকতে পারে শরবত। 

৪। ডাবের পানি খেতে পারেন প্রতিদিন। প্রয়োজনে স্যালাইন খান। 

৫। প্রয়োজন ছাড়া রোদে যাবেন না কিংবা রোজা রেখে ভারি ব্যায়াম করতে যাবেন না। এতে ঘাম বেশি হয়ে পানিশূন্যতা দেখা দেওয়ার আশংকা থাকে।

৬। ইফতারের পর অতিরিক্ত চা কিংবা কফি খাওয়া অনুচিত।