Gyanvapi case: জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গের বয়স কত? ASIকে তীব্র ভর্ৎসনা আদালতের

জ্ঞানবাপী মসজিদের ভেতরে উদ্ধার করা হয়েছিল শিবলিঙ্গ। বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে সেই শিবলিঙ্গের বয়স নির্ধারন করতে বলেছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশ মেনে জবাব দিতে পারেনি আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। আর সেই ঘটনায় এবার এএসআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেলকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে আদালত।

আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও এএসআই নানা গড়িমসি করছে বলে জানিয়েছে আদালত।

আদালত তার নির্দেশে জানিয়েছে, গত ২০ মার্চ ডিজি এএসআইকে শেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা এখনও পর্যন্ত জমা দেওয়া হয়নি। সেক্ষেত্রে এই ধরনের গড়িমসির ঘটনা অত্যন্ত নিন্দাজনক এই ধরনের অভ্যাসকে দূর করা দরকার।

সেই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষের বিষয়টির গুরুত্ব ভাবা দরকার।

আদালত জানিয়েছে এএসআইয়ের ডিজির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে থেকে গোটা দেশের সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাদের এই বিষয়টির গুরুত্ব সম্পর্কে ভাবা দরকার ছিল। তাদের আদালতের নির্দেশকে মানা দরকার। সেই সঙ্গেই আদালত জানিয়েছে বিষয়টি দিনের পর দিন ফেলে রাখা যাবে না। কারণ এই বিষয়টিকে নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে জোর চর্চা চলেছে। বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, এভাবে কর্তৃপক্ষ কোনও বিষয় নিয়ে দেরি করবে এটা বরদাস্ত করা হবে না।

এবার আদালত জানিয়েছে, ১৭ এপ্রিল শেষবারের মতো সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে জবাব দিতে হবে।

এদিকে গত বছর মে মাসে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভেতরে ওই শিবলিঙ্গটি পাওয়া গিয়েছিল। হিন্দু ভক্তরা এনিয়ে ওই শিবলিঙ্গের বয়স নির্ধারণ করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সিভিল কোর্ট তাদের দাবিকে খারিজ করে দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আপার কোর্টে গিয়েছিলেন তারা। এরপরই এএসআইকে শিবলিঙ্গের বয়স নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু সেখানেও নানা গড়িমসি করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্য়াসোসিয়েট প্রফেসর রতন লাল বারানসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে বলে যে দাবি করা হয়েছিল তা নিয়েই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। এরপর শুক্রবার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। তাঁকে জামিন দিয়ে চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিসট্রেট সিদ্ধার্থ মালিক জানিয়েছিলেন, একটি কাঠামো ও শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছিল তা নিয়েই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত জামিনে তাঁকে মুক্তি দিয়েছিল আদালত।

আদালত জানিয়েছিল,ভারত ১৩০ কোটির দেশ। যেকোনও বিষয়ে ১৩০ কোটি দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে। কোনও একজন ব্যক্তি মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছেন মানে গোটা কমিউনিটিকে বোঝাচ্ছে এমনটা নয়। তাছাড়়া সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর এটি বিচার বিবেচনা করতে হয়। আর তিনি যে পোস্টটি করেছিলেন সেটি সম্ভাব্য একটি বিষয়ের উপর কারণ এটি এখনও পাবলিক ডোমেনে আসেনি।