ধান বিক্রির টাকা সরাসরি যাচ্ছে ভাইপোর কাছে, বর্ধমানে দাঁড়িয়ে বললেন শুভেন্দু

রাজ্যে ধানবিক্রির টাকা সরাসরি ভাইপোর কাছে যাচ্ছে। কয়লা, বালি, পাথর, নিয়োগ দুর্নীতির পর এবার নতুন দুর্নীতির অভিযোগ মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দে নাজেহাল বর্ধমানের কার্জন গেটে দাঁড়িয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে এদিন ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘চোরেদের রানি’ বলেন তিনি।

এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘রাজ্যের চাষিদের ৭ হাজার টাকা বিঘাপ্রতি লোকসানে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে। রাজ্যে ৪ জন আলুচাষি ফসলের দাম না পেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। এই জেলার মানুষ ধান ও আলু চাষের ওপর নির্ভরশীল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কালোবাজারিতে আপনাদের সার কিনতে বাধ্য করেছে। ধান বিক্রিতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি বছর ৫০০০ কোটি টাকা আগাম দেয়। ধান না কি সরাসরি আপনারা বিক্রি করেন, চেক পান। এক শ্রেণির রাইস মিল মালিকের নেতৃত্বে, মানিক বলে একটা চোর আছে। আগের খাদ্যমন্ত্রীর সাগরেদ। এখন তো আগের খাদ্যমন্ত্রী নেই, এখন আরেকটা খাদ্যমন্ত্রী আছে। সরাসরি ভাইপোর কাছে টাকা চলে যাচ্ছে। ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে ধানচাষিদের বাধ্য করছে কম দামে ধান বিক্রি করতে। অন্যদিকে সব টাকা ফেক অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে’।

শুভেন্দু বলেন, ‘পাশের জেলা বীরভূম। তিনি না কি শুধু বীরভূমের বাঘ ছিলেন না। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলালের দুলাল ছিলেন। তিনি মঙ্গলকোটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। আউসগ্রামের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। কেতুগ্রামের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেই কেষ্টবাবুর বীরভূমের কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কে ২০০ ফেক অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে। তিনি তাঁর চাল মিলে চাষিদের টাকা ফেক অ্যাকাউন্টে পাঠাতেন আর ধান কিনতেন বলে দেখাতেন। ২০১৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী ফসল সুরক্ষা যোজনা এই রাজ্যে বন্ধ করে দিয়েছে। চারিদিকে চুরি চুরি চুরি। চুরি ছাড়া কোনও কথা নেই। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হচ্ছেন চোরেদের রানি’।

অনুব্রতকে শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘কেষ্টবাবু বলতেন, উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে, চড়াম চড়াম ঢাক বাজছে, নকুন দানা, গুড় বাতাসা। ধোঁয়া বেরিয়ে গেছে। এখন তিহাড়ের জেলে। এখানকার মাতব্বরদের অবস্থাও তাই হবে’।