আদানির ‘N’ মানে কে? দেখালেন রাহুল, কোর্টে দেখা হবে, তোপ হিমন্তের

আদানি সংক্রান্ত টুইট করে দলত্যাগীদের নিশানা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এবার সেই টুইটকে কেন্দ্র করে তোপ দাগলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বলেন, আসলে বোফর্স কেলেঙ্কারি আর ন্যাশানাল হেরাল্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে এই যে আমরা প্রশ্ন তুলছি না এটা আমাদের শালীনতা, ভদ্রতা।

 রাহুল গান্ধী টুইট করে জানিয়েছেন, তারা সত্যকে লুকিয়ে ফেলছেন। সেকারণেই তারা রোজ বিপথে চালিত করছেন। কিন্তু প্রশ্নটা একই থেকে গিয়েছে। আদানির কোম্পানিতে কে ২০,০০০ কোটির বেনামী সম্পত্তি করল? এরপর তিনি পাঁচজন নেতার নাম নিয়েছেন। যাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আর সেই নামের মধ্য়ে লুকিয়ে রয়েছে আদানির একটি করে শব্দ।

যেমন অসমের মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নামে মধ্যে রয়েছে N শব্দটি। আবার আদানি শব্দের মধ্যেও রয়েছে এন শব্দটি। দুটি শব্দকে এক করতে চেয়েছেন রাহুল। প্রসঙ্গত এর আগে হিমন্ত বিশ্বশর্মা কংগ্রেসেই ছিলেন।

২০১৫ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সেই হিমন্ত এবার পালটা নিশানা করলেন রাহুল গান্ধীকে। তিনি পালটা টুইট করে লিখেছেন, এটা আমাদের ভদ্রতা যে আমরা আপনাকে বলিনি ঠিক কীভাবে আপনারা বোফর্স ও ন্যাশানাল হেরাল্ড স্কিমের কেলেঙ্কারিকে চাপা দিয়ে রেখেছেন। কীভাবে আপনি কোয়াত্রোচ্চিকে ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার হাত থেকে বার বার পালিয়ে যেতে অনুমতি দিয়েছেন। যাই হোক আইনের দরবারে আপনার সঙ্গে দেখা হবে।

 

এদিকে আদানি ইস্যুতে গত কয়েকমাস ধরেই সুর চড়াতে শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সংসদেও এনিয়ে বার বার হইহট্টোগোল হয়েছিল। রাহুল গান্ধী বার বার মোদীর সঙ্গে আদানির যোগসূত্র টানার চেষ্টা করেছেন। হিন্ডেনবার্গ ইস্যুকেও বার বার সামনে আনতে শুরু করেছেন তিনি।

এদিকে সম্প্রতি অন্য একটি মামলার জেরে সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে রাহুল গান্ধীর। তবে তারপরেও অবশ্য দমে যাননি তিনি। মোদীর সঙ্গে আদানির যোগসূত্রে প্রমাণে একেবারে উঠেপড়ে লেগেছেন তিনি। শেল কোম্পানির মাধ্যমে ২০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল আদানি গ্রুপের কোম্পানিতে। এমন অভিযোগও করা হয়েছে। এর সঙ্গে আদানির সঙ্গে মোদীর সম্পর্ক কতটা গভীর তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেই সঙ্গেই যৌথ সংসদীয় কমিটি তৈরির দাবিতে বার বার সরব হয়েছে কংগ্রেস। এবার কংগ্রেস ছেড়ে যাওয়া নেতাদের আদানি ইস্যুতে নিশানা করলেন রাহুল গান্ধী।