হাওড়ায় অশান্তি রুখতে গোয়েন্দা লাগালেন না কেন? মমতাকে মোক্ষম প্রশ্ন বিমানের

বামেদের সম্প্রীতি মিছিল। হুগলির কোন্ননগরের বাটা মোড় থেকে উত্তরপাড়ার গৌরী সিনেমা হল পর্যন্ত সম্প্রীতির মহামিছিলে পা মেলালেন বাম নেতা কর্মীরা। কিছুদিন আগে হিংসায় উত্তপ্ত হয়েছিল রিষড়া। এবার সেই হুগলিতে সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আবেদন করলেন বাম নেতৃত্ব। তবে সেখান থেকেই তাঁরা তৃণমূলকেও নিশানা করে তোপ দাগলেন।

রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু এদিন দাবি করেন, অশান্তির ঘটনা আগে থেকেই আঁচ করার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কেন তিনি তা রোধ করলেন না? প্রশ্ন তুললেন বাম নেতা বিমান বসু। তাঁর প্রশ্ন অশান্তি তো অঙ্কুরেই ঠেকানো যেত।

এদিন হুগলির রাস্তা লাল পতাকায় মুড়ে যায়। বামফ্রন্টের বিভিন্ন শরিক দলের নেতারা এদিন মিছিলে অংশ নেন। এসইউসিআই ও সিপিআএম লিবারেশেনের নেতারও এদিন মিছিলে অংশ নেয়।

ঠিক কী বলেছেন বাম নেতা বিমান বসু?

এদিন তিনি মিছিল শেষে সভায় বলেন, একমাস আগে শুনেছি লাগাবে, তাহলে কার্যকরী ব্যবস্থা করলেন না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা আছে, তদন্ত করে, গোয়েন্দা লাগিয়ে অঙ্কুরেই ওটাকে বন্ধ করা যেত। তা করতে দেওয়া হয়নি। করতে দেওয়া হয়েছে। রিষড়ার ঘটনা কীভাবে হল সেটা বোঝাই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। একেবারে মোক্ষম প্রশ্ন তুলে দিলেন বিমান বসু।

সেই সঙ্গে এদিন প্রবীন বাম নেতার অনুরোধ, দাঙ্গাবাজদের জন্য় দয়ামায়া দেখানোর কোনও প্রয়োজন নেই। দাঙ্গাবাজরা সমাজের শত্রু। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এনিয়ে বাম নেতাদের উদ্বেগের কোনও ব্যাপার নেই। মুখ্যমন্ত্রী যা ব্যবস্থা নেওয়ার সবটাই নিয়েছেন।

এদিকে সম্প্রতি ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং কমিটি রিষড়ায় আসার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্ত সেখানে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরপর তাঁরা সেদিনকার মতো ফিরে আসেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের এভাবে ঢুকতে না দেওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। কেন দিল্লির টিমকে ঢুকতে দেওয়া হল তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। তবে এবার বাম নেতারাও সেই প্রসঙ্গ তুললেন।

বিমান বসু বলেন, দিল্লির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে ঢুকতে দেওয়া হচছে না কেন? কী লুকানোর আছে? লুকানোর কিছু থাকলেই তো ঢুকতে দেওয়া হয় না। বাম আমলে হুগলির তেলিনীপাড়ায় কীভাবে দাঙ্গা মোকাবিলায় জ্যোতি বসু তৎপর হয়েছিলেন সেকথা এদিন জানান বিমান বসু।