Sachin Pilot’s Fasting against Gehlot’s Govt: ভোটের আগে বিড়ম্বনায় কংগ্রেস, নিজের সরকারের বিরুদ্ধে এবার অনশনে সচিন পাইলট

এবছরই বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রাজস্থানে। সেই নির্বাচনের আগে চরম অস্বস্তিতে হাত শিবির। এমনিতেই রাজস্থানে প্রতি পাঁচ বছরে সরকার বদলের ‘প্রথা’ রয়েছে। এই আবহে কংগ্রেসের সামনে কঠিন পরীক্ষা। তবে তার আগেই সচিন পাইলট বনাম অশোক গেহলটের দ্বন্দ্বে নাজেহাল কংগ্রেস। এবার দলকে বিড়ম্বনায় ফেলে নিজের দলের সরকারের বিরুদ্ধেই অনশনে বসছেন সচিন পাইলট। আজ এক সংবাদ সম্মেলন করে বিস্ফোরণ ঘটান সচিন পাইলট। সচিন অভিযোগ করেন, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি বর্তমান সরকার। এর প্রতিবাদে আগামী ১১ এপ্রিল একদিনের অনশনে বসবেন সচিন পাইলট। (আরও পড়ুন: শীঘ্রই চালু হবে ‘মিনি বন্দে ভারত’, তারপর কোন কোন রুটে ছুটবে ‘লম্বা বন্দে ভারত’?)

আজ সাংবাদিক সম্মেলনে সচিন পাইলট অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের কাছে তিনি বসুন্ধরা রাজে সরকারের দুর্নীতির নিয়ে দাবি করেন। তবে সেই নিয়ে সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি। সচিন বলেন, ‘আমি যখন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি ছিলাম, তখন থেকেই বসুন্ধরা রাজে সরকারের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলাম। আমি প্রশিধোর রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। তবে বিরোধী হিসেবে আমাদের ওপর মানুষ নিশ্চয় বিশ্বাস করেছিলেন। তাই আমরা সরকার গঠন করেছিলাম। এই কারণেই আমি দেড় বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে চিঠি লিখে এই দুর্নীতির তদন্তের দাবি করেছিলাম। কংগ্রেসকে দেখাতে হবে যে আমাদের কথা এবং কাজে কোনও ফারাক নেই।’

আরও পড়ুন: প্রোজেক্ট টাইগারের অর্ধশতবর্ষে ক্যামোফ্লাজ টি-শার্ট পরে সাফারি মোদীর, ভাইরাল ছবি

সচিন পাইলট বলেন, ‘আমি ২০২২ সালের ২২ মার্চ একটি চিঠি লিখেছিলাম মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে। এরপর ২০২২ সালের ২ নভেম্বরে আরও একটি চিঠি লিখেছিলাম মুখ্যমন্ত্রী। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছিলাম যে মানুষ আমাদের বিশ্বাস করেছিল বলেই ২১ থেকে ১০০টি আসন দিয়েছিল। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআই এবং ইডির অপব্যবহার করছে। সেখানে আমাদের সরকার কোনও এজেন্সিকেই কাজে লাগাচ্ছে না দুর্নীতির তদন্ত করার জন্য।’ বারংবার নিজের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়েছেন সচিন পাইলট। সচিনকে যাতে মুখ্যমন্ত্রী পদ না ছাড়তে হয়, এর জন্য কংগ্রেস সভাপতি পদে বসেননি অশোক গেহলট। তবে আগামী নির্বাচনে সচিন পাইলট নিজের ‘পাওনা’ বুঝে নিতে চান। এই আবহে দুই হেভিওয়েট নেতার দ্বন্দ্বে কংগ্রেসের কতটা লোকসান হয়, তার জবাব দেবে সময়।